এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের জন্য এবার উদ্ধব ঠাকরের উপর কৌশলে চাপ বাড়াল শিবসেনা সাংসদরা। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে শিবসেনার ১৮ জন সাংসদ অনুরোধ করেন, দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, দ্রৌপদীকে সমর্থনের মধ্যে বিজেপির সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর পথ খুলতে পারে বলে মনে করছেন শিবসেনার সাংসদরা।
শিবসেনা সূত্রে খবর, ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সমর্থনের বিষয়ে এক-দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন পার্টি সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। মনে করা হচ্ছে, দ্রৌপদীর দিকেই সমর্থনের ইঙ্গিত দিতে পারেন উদ্ধব। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্র শিবসেনার ১৮ জন লোকসভার সাংসদের মধ্যে ১৩ জন রাজ্যসভার ২ জন সাংসদ মাতোশ্রীতে বৈঠকে হাজির ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত আটজন দ্রৌপদীকে সমর্থনের বিষয়ে অনড়। এবং এতে বিজেপি এবং শিণ্ডে শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলবে বলে মনে করছেন তিনি।
দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, "আমাদের মধ্যে অনেকেই চান বিজেপি এবং শিণ্ডে শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগুক। কারণ বিজেপি আমাদের পুরনো শরিক। আদর্শগত ভাবে আমাদের প্রকৃত সঙ্গী। উদ্ধব ঠাকরে এই বিষয়ে কিছু বলেননি, কিন্তু ভেবে দেখবেন বলেছেন। বিজেপি এবং শিবসেনার মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে বিদ্রোহের কারণে। কিন্তু দল যদি দ্রৌপদীকে সমর্থন করে তাহলে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগার সুযোগ থাকবে। আবার সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনা থাকবে।"
আরও পড়ুন আপাতত কোনও পদক্ষেপ করবেন না স্পিকার, সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তি উদ্ধব-শিণ্ডে শিবিরের
সূত্রের খবর, দলীয় বৈঠকে পাঁচজন সাংসদ গরহাজির ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একনাথ শিণ্ডের ছেলে শ্রীকান্ত শিণ্ডে, ভাবনা গাওয়ালি (ইডি-র নজরে রয়েছেন), সঞ্জয় যাদব, সঞ্জয় মাণ্ডলিক এবং হেমন্ত পাটিল। দাদরা এবং নগর হাভেলির একমাত্র সাংসদ কলাবেন দেলকরও ছিলেন না বৈঠকে।
সেনা সূত্রে খবর, যাদব, মাণ্ডলিক এবং পাটিল উদ্ধবকে আগেই জানান ব্যক্তিগত কারণে তাঁরা থাকতে পারছেন না, কিন্তু পরে বৈঠকে অংশ নেবেন। তাঁদের লোকসভা কেন্দ্রে ব্যাপক বৃষ্টি এবং দুর্যোগের কারণে তাঁরা থাকতে পারেননি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে শিবসেনার সংসদীয় দলের মুখ্য সচেতক পদ থেকে ভাবনা গাওয়ালিকে সরিয়ে দেন উদ্ধব। তাঁর জায়গায় রাজন বিচারেকে আনা হয়। দুসপ্তাহ আগেই ভাবনা উদ্ধবকে চিঠি লিখে বিজেপির সঙ্গে জোটে যেতে বলেন।