শিবসেনার সমাবেশে কি উঠে আসবে রাম মন্দির প্রসঙ্গ?

শিবসেনা-বিজেপি জোট যে নাও হতে পারে, বরং একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়তে পারে, আসন্ন লোকসভায়, এমন পরিস্থিতির জন্যেও নিজেদের প্রস্তুত রাখছে বিজেপি।

শিবসেনা-বিজেপি জোট যে নাও হতে পারে, বরং একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়তে পারে, আসন্ন লোকসভায়, এমন পরিস্থিতির জন্যেও নিজেদের প্রস্তুত রাখছে বিজেপি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সোমবারের জনসভায় শিবসেনা কী ঘোষণা করতে চলেছে, রাজনীতি মহলে সেই নেই জোর জল্পনা চলছে। বিগত কয়েক মাসে  বিজেপি-কে ক্রমাগত আক্রমণ করা সত্ত্বেও লোকসভার আগে বিজেপির সঙ্গেই প্রাক নির্বাচনী জোটে যায় কি না শিবসেনা, সেটাই দেখার।

Advertisment

সাম্প্রতিক বিধানসভায় বিজেপির ভরাডুবিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে শিবসেনা। দলের তরফে জানানো হয়েছে,  বিজেপি মুক্ত ভারতের পক্ষেই রায় দিয়েছেন মানুষ।

শিবসেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘‘যাঁরা আকাশে উড়ছিলেন, তাঁদের এবার মাটিতে নেমে এসেছেন।’’

দিন চারেক আগে বাণিজ্য নগরীর এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ লোকসভায় শিবসেনা-বিজেপি জোট নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। প্রাক নির্বাচনী জোট না হলে কী কী সম্ভাবনা থাকতে পারে, সে আলোচনাও হয় বৈঠকে। বিজেপির মহারাষ্ট্র শাখার মুখপাত্র মাধব ভান্ডারী অবশ্য দলের কৌশল অথবা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। বিধায়ক লক্ষণ জগতপ বলেছেন, মাভাল থেকে ভান্ডারীর নাম মনোনীত করা হয়েছে। মাধব ভাণ্ডারীর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি।

Advertisment

আরও পড়ুন, এনডিএ জমানায় মন্ত্রীদের বিদেশ সফরের খরচ ক্রমশ নিম্নমুখী

জগতপ আরও বলেন, "আমরা প্রস্তুত। শিবসেনার সঙ্গে জোট হলে ভাল। তবে বিজেপির জন্যই আসন রাখা দরকার, মানুষের সমর্থন বিজেপি-র পক্ষে"।

শিবসেনা-বিজেপি জোট যে নাও হতে পারে, বরং একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়তে পারে, আসন্ন লোকসভায়, এমন পরিস্থিতির জন্যেও নিজেদের প্রস্তুত রাখছে বিজেপি।

সূত্রের খবর বলছে, বিজেপির শীর্ষ মন্ত্রিত্ব শিবসেনার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত রয়েছে। যদিও মন্ত্রী গিরীশ বাপাত জানিয়েছেন, "এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধন্তই চূড়ান্ত", ।

অযোধ্যার জনসভার পর শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থাকড়ের এটি দ্বিতীয় সভা। পান্ধারপুরের সোমবারের মহাসভায়, রাম মন্দির প্রসঙ্গ উঠে আসা খুবই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Read the full story in English