সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রাক্কালে আজ দিল্লিতে এনডিএ শরিক বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না শিবসেনা। মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার আধাআধি বণ্টনকে কেন্দ্র করে বিজেপি-শিবসেনার সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে, রবিবার বৈঠকে উপস্থিত না থেকে সেনা সেই ফাটলকে বিচ্ছেদে পরিণত করতে চলেছে মনে করা হচ্ছে। ১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এর আগের রাতে অর্থাৎ রবিবার দিল্লিতে শরিক বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ। কিন্তু, রাউত জানিয়েছেন তাঁরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন না। তবে, শিবসেনা নেতা বিণায়ক রাউত আবার বলেছেন, দল আমন্ত্রণ পায়নি বলেই বৈঠকে অংশ গ্রহণ করছে না। এদিকে, ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার আবার শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালঠাকরের মৃত্যুবার্ষিকী।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি শাসনের নামে ঘোড়া কেনা-বেচার আসর বসাতে চায় বিজেপি, অভিযোগ সেনার
মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল ঘোষণার পর থেকেই বিজেপি-সেনা দ্বৈরথ চরমে উঠেছে। সেনা মুখপত্র সমনার সম্পাদকীয়তে এদিন লেখা হয়েছে, "রাষ্ট্রপতি শাসনের ছদ্মবেশে ঘোড়া কেনা-বেচা"।
এদিকে, এদিকে, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির খসড়া তৈরি। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি জোটের সরকার যে গঠন হচ্ছে গতকালই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। এবার নজরে সরকারের ক্ষমতা ভাগাভাগির সূত্র নির্ধারণ। আপাতত তিন দলের রাজ্য নেতৃত্ব লাগাতার আলোচনা চালাচ্ছেন এই সূত্রের সন্ধানে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে মারফত জানতে পেরেছে, সেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির রাজ্য নেতারাই প্রাথমিকভাবে এই সূত্র নির্ধারণের কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: জেএনইউ মূর্তি বিকৃতিকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার পথে মশাল হাতে এবিভিপি-নাগরিক সংঘ
আসন সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র সর্বাধিক ৪২টি মন্ত্রীপদ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি তিন দলের মধ্যে অনুপাতিক হারে ভাগ করা হবে। মূলত ৯টি দফতরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, রাজস্ব, সমবায়, পূর্ত, জল সম্পদ, নগরোন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষির মতো দফতরগুলি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে অনুপাতিক হারে দফতর বন্ঠন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচন হয়েছে তিন দলের নেতাদের মধ্যে।