কংগ্রেসে যোগ দিলেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের শ্যালক

মাসানি বিজেপি-কে কটাক্ষ করেন এই বলে, যে তারা "নামদার"-দের গুরুত্ব দেয়, "কামদার"-দের নয়। তিনি আরও বলেন যে তাঁকে চৌহানের পরিবারের সদস্য হিসেবে নয়, স্রেফ একজন আত্মীয় হিসেবেই গণ্য করা উচিৎ।

মাসানি বিজেপি-কে কটাক্ষ করেন এই বলে, যে তারা "নামদার"-দের গুরুত্ব দেয়, "কামদার"-দের নয়। তিনি আরও বলেন যে তাঁকে চৌহানের পরিবারের সদস্য হিসেবে নয়, স্রেফ একজন আত্মীয় হিসেবেই গণ্য করা উচিৎ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shivraj singh brother-in-law

কমল নাথের সঙ্গে সঞ্জয় মাসানি

মধ্য প্রদেশে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের শ্যালক সঞ্জয় সিং মাসানি আজ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। মাসানি হলেন চৌহানের স্ত্রী সাধনা সিংয়ের ভাই। আজ তিনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস কমিটির প্রধান কমল নাথ এবং ক্যাম্পেন কমিটির শীর্ষ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন। নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাসানি বলেন, "মধ্য প্রদেশের প্রয়োজন নাথ, শিবরাজ নন। উনি ১৩ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ধরে রেখেছেন।" মাসানি আরও বলেন, যে বিজেপি রাজনীতিতে পরিবার প্রথার প্রচার করছে।

Advertisment

মাসানি বিজেপি-কে কটাক্ষ করেন এই বলে, যে তারা "নামদার"-দের গুরুত্ব দেয়, "কামদার"-দের নয়। তিনি আরও বলেন যে তাঁকে চৌহানের পরিবারের সদস্য হিসেবে নয়, স্রেফ একজন আত্মীয় হিসেবেই গণ্য করা উচিৎ। "আমার নাম সঞ্জয় মাসানি। আমার বংশলতিকা এবং গোত্র আলাদা," বলেন মাসানি।

Advertisment

আরও পড়ুন: অমিত শাহকে মধ্যাহ্নভোজ খাইয়ে এই ব্যক্তি যোগ দিলেন বিজেডিতে

মাসানির ঘোষণার মাত্র একদিন আগেই আসন্ন ২৮ নভেম্বরের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি তাদের ১৭৭ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। এবারের নির্বাচনে ময়দানে রয়েছেন ২৪ জন মন্ত্রী, এবং বাদ পড়েছেন ৩৪ জন বিধায়ক, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মন্ত্রীও। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নির্বাচন লড়বেন বুধিনি কেন্দ্র থেকে। বিধানসভার বাকি ৫৩ টি আসনের জন্য কবে প্রার্থী ঘোষণা হবে, তা এখনও জানায় নি বিজেপি।

সাংবাদিক সম্মেলনে কমল নাথ বলেন, সমাজের সব স্তরে চৌহানের "কুশাসনের" প্রভাব পড়েছে, এবং মাসানির কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ নতুন দিশা খুঁজছেন, এবং রাজ্যে প্রকৃত বিকাশ চাইছেন। উল্লেখ্য, মধ্য প্রদেশে ২০০৩ থেকে ক্ষ্মতায় রয়েছে বিজেপি।