আরএসএস উচ্চবর্ণের সংগঠন। আর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী একজন মহান নাট্যকার। মোদী এবং আরএসএসকে এই সুরেই কটাক্ষ করলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এস সিদ্দারামাইয়া। কংগ্রেস নেতৃত্ব সম্প্রতি ভারতের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে আরএসএসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
সেই পথ ধরেই মঙ্গলবার সিদ্দারামাইয়াও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপি এবং আরএসএসের অবদান নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন। তাঁর অভিযোগ, আরএসএস শুধু ভারতের জাতীয় পতাকারই বিরোধী নয়। ভারতের জাতীয় সংগীত এবং সংবিধানেরও বরাবর বিরোধিতা করে এসেছেন আরএসএস নেতৃত্ব।
আর, এই প্রসঙ্গেই সিদ্দারামাইয়ার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের 'হর ঘর তিরঙ্গা' প্রচারাভিযান আসলে একটা 'নাটক'। আর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই নাটকের 'মহান নাট্যকার'। সিদ্দারামাইয়ার প্রশ্ন, 'যারা বরাবর জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত এবং ভারতীয় সংবিধানের বিরোধিতা করে আসছে, তারা কীভাবে দেশপ্রেমিক হতে পারে?'
সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'আমি শুরু থেকেই আরএসএসের বিরোধিতা করে আসছি। কারণ, আরএসএস উচ্চবর্ণের একটি সংগঠন। এই কারণেই তারা চাতুর্বর্ণ প্রথা বা বর্ণপ্রথা ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। চাতুর্বর্ণ ব্যবস্থা উচ্চবর্ণের আধিপত্যে বিশ্বাস করে। যদি সেই ব্যবস্থা চলতে থাকে, তাহলে অসমতা বজায় থাকবে। আর, সমাজকে শোষণের দিকে নিয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন- ফ্লোরিডা সৈকতের প্রাসাদে এফবিআইয়ের তদন্ত, বড় আইনি ঝঞ্ঝাটে জড়ালেন ট্রাম্প?
সিদ্দারামাইয়ার অভিযোগ, আরএসএস, বিজেপি, হিন্দু মহাসভা, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ এবং বজরং দলের মত সংঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠন এইজাতীয় জাতিভেদ প্রথা এবং আদর্শে বিশ্বাস করে। কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া। মঙ্গলবার কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এই সব অভিযোগ জানান। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলার পাশাপাশি, দলীয় কর্মীদের সিদ্দারামাইয়া 'ভারত ছাড়ো আন্দোলন'-এর বার্ষিকী পালনেরও আহ্বান জানান।
দলীয় কর্মীদের সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'আরএসএসের দামোদর বিনায়ক সাভারকর, মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকর এবং আরএসএস মুখপত্র অর্গানাইজার তিরঙ্গাকে জাতীয় পতাকা মানতে চায়নি। প্রায় ৫২ বছর ধরে, মহারাষ্ট্রের নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনই হয়নি। এসব কথা আমাদের জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে হবে।'
Read full story in English