মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে পঞ্জাবের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে লেখা একটি চিঠিতে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিটি ১০ জুন তারিখের। ওইদিনই রাহুলের সঙ্গে দেখা করছিলেন সিধু। কিন্তু এদিনই চিঠিটি প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
সিধুর পদত্যাগের পরই বিভিন্ন জল্পনা শুরু হয়েছে পঞ্জাবের রাজনীতিতে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে ওই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এনিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি সিধু। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে দীর্ঘদিন বিজেপি-র নেতা ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওই প্রাক্তন ব্যাটসম্যান।
আরও পড়ুন, বাংলায় ৫ লক্ষ সংখ্যালঘু সদস্য সংগ্রহে ঝাঁপাল বিজেপি
অমরিন্দরের সঙ্গে গত কয়েক মাস যাবত বিবাদ চলছে সিধুর। সূত্রের খবর, ক্যাবিনেটে মন্ত্রী হিসাবে সিধুর পারফর্ম্যান্সে সন্তুষ্ট নন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। অমরিন্দর ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, সিধু দফতরের কাজকর্মে সময় দেন না। যদিও সিধু শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, তাঁকে কোণঠাসা করতেই বিভ্রান্তি তৈরি চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, ইমরান খান মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সিধুর পাকিস্তান সফরকে কেন্দ্র করেও বিতর্ক শুরু হয়। অমরিন্দর সেই সময় প্রকাশ্যেই সিধুর ইসলামাবাদ যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন।
দুই পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে জুন মাসের শুরুতে। ৬ জুন মন্ত্রীসভায় ব্যপক রদবদল করেন অমরিন্দর। পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সিধুর পারফর্মেন্স নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বিদ্যুতমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন সিধু। রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করে নিজের ক্ষোভের কথা জানান। অমরিন্দর ও সিধুর বিবাদ মেটাতে পাঠানো হয় কংগ্রেসের প্রবীন নেতা আহমেদ প্যাটেলকে। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি।
Read the full story in English