'দলীয় নেতৃত্ব না এসে পিকের টিম কেন?', পাল্টা প্রশ্ন শীলভদ্রের

'পিছিয়ে আসার কোনও জায়গা নেই। আর সেরকম কোনও কারণও ঘটেনি। ২১ সালের ভোটে আমি লড়ব না।'

'পিছিয়ে আসার কোনও জায়গা নেই। আর সেরকম কোনও কারণও ঘটেনি। ২১ সালের ভোটে আমি লড়ব না।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

টিম পিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছিলেন ২১-এর ভোটে আর লড়বেন না। এবার ব্যারাকপুরের 'অভিমানী' বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের মানভঞ্জনে তাঁর বাড়িতে হাজির হলেন টিম পিকে। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভিজল না। দলের এই পদক্ষেপে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন শিলভদ্র। প্রশ্ন তুললেন, 'দলীয় কোনও নেতৃত্বের বদলে কেন প্রফেশনালদের পাঠানো হল?'

Advertisment

পিকের লোকেরা চলে যাওয়ার পর মঙ্গলবার তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বলেছেন, 'আমার কাছে জানতে এসেছিল কী ব্যাপার? আমি যেটা পাবলিকলি বলেছি, সেটাই বললাম। তার থেকে তো পিছিয়ে আসার কোনও জায়গা নেই। আর সেরকম কোনও কারণও ঘটেনি।' এরপরই টিম পিকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিধায়ক বলেন, 'পিকের টিমের কাজকর্ম আমার পছন্দ হয়নি। পলিটিক্যাল লিডাররা এলে অনেক ভালো হত। পলিটিক্যাল কর্মীরা এলে অনেক ভালো হত। তবে এটা তাঁদের ব্যাপার। তবে, ওঁদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাই তাঁরা এসেছেন।'

তৃণমূলের পক্ষ থেকে 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে'র চেষ্টা হলেও শিলভদ্র দত্ত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন বলে দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, 'আমি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হব না। এটা চূড়ান্ত। সিদ্ধান্ত বদলের কোনও জায়গা নেই।'

Advertisment

আরও পড়ুন- স্বাধীনভাবে কাজে বাধা, তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ আরও এক বিধায়কের

দলীয় নেত্বকে নিশানা করে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, 'তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালেই মানুষ সঙ্গে রয়েছেন আর সাধারণভাবে কাজ করলে সঙ্গে থাকবেন না বা থাকেন না , এরকম হয় না। যতদিন বাঁচব আমি ব্যারাকপুরের মানুষের সঙ্গে ছিলাম,আছি ও থাকব।'

পুজোর আগেই বেসুর বাজতে সুরু করেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। টিম পিকে-কে বিঁধে তিনি বলেছিলেন, 'একটা বাজারি কোম্পানি টাকা নিয়ে ভোট করাতে আসছে। তারা আমাকে বলছে, আপনাকে ভোট নিয়ে ভাবতে হবে না। ভোট আমরা করাব। আমাকে রাজনীতির জ্ঞান দিচ্ছে। ৯-১০ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। এই পরিবেশে আর মানিয়ে নিতে পারছি না। রাজনীতিতে সম্মান অনেক বড়।'

বেসুর শাসক শিবিরের একাধিক বিধায়ক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর কাছে পিকের টিম গেলেও সাফল্য মেলেনি। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মিহিরবাবু। এখন দেখার শীলভদ্র দত্তর ক্ষেত্রেও কী একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে? নাকি গোঁসা মিটবে বিধায়কের?

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc