Advertisment

এসএফআই নেত্রীকে রাস্তায় ফেলে মার শিলিগুড়িতে

অয়ন্তিকা কলেজের সামনে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রীরা। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়, লাথি মারা হয় বুকে, মুখে মারা হয় জলের বোতল দিয়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শিলিগুড়িতে ব্যাপক মার খেলেন এসএফআই নেত্রী

শিলিগুড়িতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রীদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন এসএফআই নেত্রী। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মারমুখী ছাত্রীদের ধাক্কা দেওয়ায় শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত হলেন সিটু-র নেতা। ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলে শামিল হলেন সিপিএমের জেলা নেতারা।

Advertisment

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে শিলিগুড়িতে আয়োজিত সভায় বিভিন্ন কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জড়ো করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সভায় জোর করে ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ থেকেও, এমনটাই দাবি। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার কলেজে ডেপুটেশন দেন ওই কলেজেরই ছাত্রী, এসএফআই সমর্থক অবন্তিকা চক্রবর্তী। এ নিয়েই কলেজে টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রীদের হেনস্থার শিকার হন তিনি। তাঁকে কলেজে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।

আরো পড়ুন: বোনকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন দাদার

এ ঘটনার খবর পেয়ে কলেজে রওনা দেন অবন্তিকার বাবা সিটু নেতা অজয় চক্রবর্তী এবং তাঁর দিদি এসএফআই নেত্রী অয়ন্তিকা চক্রবর্তী। অয়ন্তিকা কলেজের সামনে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রীরা। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারা হয়, লাথি মারা হয় বুকে, মুখে মারা হয় জলের বোতল দিয়ে।

মেয়েকে রাস্তায় পড়ে মার খেতে দেখে এগিয়ে যান অজয়বাবু। মারমুখী ছাত্রীদের ধাক্কা দেন তিনি। এর পরেই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়। তৃণমূলের যুব নেতা নির্ণয় রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অজয় চক্রবর্তীকে আটক করে। খবর যায় শিলিগুড়ির সিপিএম নেতাদের কাছে। অনিল বিশ্বাস ভবন থেকে অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকারের নেতৃত্বে মিছিলের আয়োজন করা হয়।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মারধরের ঘটনা কলেজ চত্বরের বাইরেই ঘটেছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে গভর্নিং বডির কাছে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।

SFI
Advertisment