দেশের গণতন্ত্রের রক্ষার স্বার্থে আঞ্চলিক স্তরে মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিএএ বিরোধী বৈঠক বয়কট প্রসঙ্গে এ বার্তাই দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। উল্লেখ্য, আগামী ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর ডাকে বিরোধীদের বৈঠক রয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ভারত বনধে পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ তুলে ওই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সিদ্ধান্তকে নিশানা করতে আসরে নেমেছে বাংলার বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিকে, সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়ে মমতাকে ক’দিন আগে চিঠি দেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বনধের দিন বঙ্গ সিপিএমকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘কেরালা সিপিএম ঢের ভালো’’। এই প্রেক্ষিতে ইয়েচুরির এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
ঠিক কী বলেছেন সীতারাম ইয়েচুরি?
টুইটারে এ প্রসঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরি লিখেছেন, ‘‘আরএসএস-বিজেপির বিদ্বেষমূলক আক্রমণ থেকে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা সকল দেশপ্রেমীর গুরুদায়িত্ব। আমাদের সংবিধান রক্ষার্থে আঞ্চলিক স্তরে কোনও মতপার্থক্য বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা ঠিক নয়। কেরালায় আমরা সেই প্রচেষ্টা দেখিয়েছি’’।
আরও পড়ুন: ‘একুশে বাংলায় বিজেপি ২০০, তৃণমূল ৫০টি আসনও পাবে না’
অন্যদিকে, কেরালা সরকারের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস নাকচ করেছে মমতা সরকার। এ প্রসঙ্গে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘এটা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার যে সিএএ-এনআরসি-এনপিআরের বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেসের আনা প্রস্তাবনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার খারিজ করে দিয়েছে’’। উল্লেখ্য, এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব আনা হয় বিধানসভায়, তাই নতুন করে কোনও প্রস্তাবের প্রয়োজন নেই।
Read the full story in English