তৃণমূলে যোগ দিলেন কাঁথি পুরসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন পৌর প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে এ দিন পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন তৃণূলের আরও ১৪জন বিদায়ী কাউন্সিলরও। এ দিন কাঁথির সভা থেকে ফের অবিভক্ত মেদিনীপুরে গেরুয়া শিবিরের সাফল্য আসবে বলে ঘোষণা করেন শুভেন্দু। এছাড়াও পুরনো দলকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, 'বর্তমানে তৃণমূল কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। পিসি-ভাইপো মিলে দেড় জনে দল চালাচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার গোলাম হবো না।' জোড়া-ফুল শিবির থেকে তাঁকে 'বিশ্বাঘাতক' তকমা দেওয়া হয়েছে। এর বদলা ইভিএমে নেওয়ার জন্য এ দিন মেদিনীপুরবাসীকে আহ্বান জানান শুভেন্দু।
কাঁথিতে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
* 'এই সরকার ভোট করাতে ভয় পায়। তাই গত কয়েক বছরের রাজ্যজুড়ে পুরভোট আটকে রেখেছে।'
* 'তৃণমূল কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। পিসি-ভাইপো মিলে দেড় জনে দল চালাচ্ছে।'
* 'ভাইপো বলেছিলো অর্জুন সিং-সৌমিত্র খাঁ ভোট জিতলে রাজনীতি ছাড়বে। কই এখনও তো ছাড়লো না। কবে ছাড়বে?'
* 'এবার ভোট জোড়া-ফুলের সঙ্গে অধিকারীরা নেই, তাই এবারও তৃণমূল দ্বিতীয় হবে।'
* 'হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট রাজ্য চালাবে আর বাকিরা ল্যাম্প পোস্ট। এসব সম্মান থাকলে কেউ মানতে পারবেন না।'
* 'এক নেতা বলছেন আমি বিশ্বাসঘাতক। এখানে বিশ্বাসঘাতক জন্মায় না। বিদ্যাসাগররা জন্মান। এর জবাব আপনারা ইভিএমে দেবেন না?'
* 'সাড়ে ৯ বছর পরে এখন যমের দুয়ারে সরকার। আবার আসছে পাড়ায় পাড়ায় সমাধান। কিচ্ছু হবে না। ঢপের চপ।'
* 'কাঁথিতে বলেছিল মহিলা কলেজ দেবে, দেয়নি। ডায়মন্ডহারবার জোড়া বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে। হরিশ চ্যাটার্জী, হরিশ মুখার্জীর বাইরে ওরা কিছু ভাবে না।'
* '৩০ জানুয়ারির আগে এমন অবস্থা করব যে বিজেপি এখানে ১০০ শতাংশ আসনে সাফল্য পাবে। তৃণমূল বাড়িতে ভোটার স্লিপ দেওয়ার লোক পাবে না।'
উল্লেখ্য, সৌমেন্দু দীর্ঘদিন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। মেয়াদ ফুরনোর পর তাঁকেই পুর প্রশাসক পদে বসিয়েছিল শাসক দল। কিন্তু শুভেন্দুর দলবদলের পরই বুধবার আচমকাই তাঁর ভাই সৌমেন্দুকে হঠাৎই সেই পদ থেকে সরানো হয়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সৌমেন্দু। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শুনানির পর মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। বিজেপিতে যোগ দিয়েই সৌমেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'এটা নীতির লড়াই, আদর্শের লড়াই। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন