বাংলায় একুশে বিপর্যয়ের পরই গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। চলতি মাসেই মোদী মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ছেড়েছিলেন রাজ্যের যুব মোর্চার সভাপতির পদ। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর নিশানায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ। জল্পনা চলছিল তাঁর দলবদলের। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ভোলবদল করলেন সৌমিত্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর রনং দেহী মেজাজ উধাও। ভুল স্বীকার করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।
জানা গিয়েছে দলীয় বৈঠকে রবিবার কিছুটা হাল্কা মেজাজেই ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। বলেন, 'যুব মানে লড়াই হবে। মাঝেমাঝে ভুলও হবে। আমারও কিছু ভুল হয়েছে। ফেসবুকে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করাটা আমার ভুল ছিল। তার জন্য সবার কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।'
শুধু ক্ষমা চাওয়াই নয়। দলীয় রাজনীতিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতির কট্টর বিরোধী সৌমিত্রের মুখে দিলীপ ঘোষের ভূয়সী প্রশংসায় শোনা যায়। কিছু দিন আগেই দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'আমাদের রাজ্য সভাপতিকে কিছু বললে অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না।' দিলীপবাবুও অবশ্য হাসতে হাসতে বলেছেন, 'যুব নেতা, আবেগ রয়েছে। সবকিছু প্রকাশ্যে বলে ফেলে।'
আরও পড়ুন- আজ দিল্লি যাচ্ছেন মমতা, বিরোধী ঐক্যে শানের তোড়জোড়
নিজের দলের বিরুদ্ধে আপাতত বিপ্লবে ইতি টানলেও অবশ্য মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করে তোলার ডাক দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাসংসদ। তাঁর মুখে এখন 'অগাস্ট বিপ্লব' স্লোগান। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে যুব মোর্চার নেতৃত্বে ২০ অগাস্ট ‘কলকাতা চলো’ অভিযানের ঘোষমা করেছেন তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সৌমিত্রের অসন্তোষ কি আদৌ কমেছে? কারণ দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করলেও জানা গিয়েছে বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। এর আগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সংগঠনে গোষ্ঠী রাজনীতির অভিযোগে সরব ছিলেন তিনি। বলেছিলেন যে, 'বিরোধী দলনেতা নিজেকে বিরাট করে জাহির করছেন। যখন উনি তৃণমূলে ছিলেন, তখনও নিজেকে বিশাল কিছু মনে করতেন। মনে হচ্ছে, দলে শুধু ওঁরই অবদান রয়েছে। আমাদের কোনও ত্যাগ নেই। নতুন নেতা হঠাৎ করে এসে যেভাবে দিল্লির নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন, তাতে গোটা দল একটা জেলার মধ্যে চলে আসছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
ক্ষমা চাইলেন সৌমিত্র, কিন্তু অসন্তোষ কমলো কি?
আদৌ কি সৌমিত্রের ক্ষোভ কমলো? ক্ষমা চাইলেও জল্পনা জারিই রইলো।
Follow Us
বাংলায় একুশে বিপর্যয়ের পরই গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। চলতি মাসেই মোদী মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ছেড়েছিলেন রাজ্যের যুব মোর্চার সভাপতির পদ। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর নিশানায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ। জল্পনা চলছিল তাঁর দলবদলের। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ভোলবদল করলেন সৌমিত্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর রনং দেহী মেজাজ উধাও। ভুল স্বীকার করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।
জানা গিয়েছে দলীয় বৈঠকে রবিবার কিছুটা হাল্কা মেজাজেই ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। বলেন, 'যুব মানে লড়াই হবে। মাঝেমাঝে ভুলও হবে। আমারও কিছু ভুল হয়েছে। ফেসবুকে ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করাটা আমার ভুল ছিল। তার জন্য সবার কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।'
শুধু ক্ষমা চাওয়াই নয়। দলীয় রাজনীতিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতির কট্টর বিরোধী সৌমিত্রের মুখে দিলীপ ঘোষের ভূয়সী প্রশংসায় শোনা যায়। কিছু দিন আগেই দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'আমাদের রাজ্য সভাপতিকে কিছু বললে অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না।' দিলীপবাবুও অবশ্য হাসতে হাসতে বলেছেন, 'যুব নেতা, আবেগ রয়েছে। সবকিছু প্রকাশ্যে বলে ফেলে।'
আরও পড়ুন- আজ দিল্লি যাচ্ছেন মমতা, বিরোধী ঐক্যে শানের তোড়জোড়
নিজের দলের বিরুদ্ধে আপাতত বিপ্লবে ইতি টানলেও অবশ্য মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করে তোলার ডাক দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাসংসদ। তাঁর মুখে এখন 'অগাস্ট বিপ্লব' স্লোগান। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে যুব মোর্চার নেতৃত্বে ২০ অগাস্ট ‘কলকাতা চলো’ অভিযানের ঘোষমা করেছেন তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সৌমিত্রের অসন্তোষ কি আদৌ কমেছে? কারণ দিলীপ ঘোষের প্রশংসা করলেও জানা গিয়েছে বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। এর আগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সংগঠনে গোষ্ঠী রাজনীতির অভিযোগে সরব ছিলেন তিনি। বলেছিলেন যে, 'বিরোধী দলনেতা নিজেকে বিরাট করে জাহির করছেন। যখন উনি তৃণমূলে ছিলেন, তখনও নিজেকে বিশাল কিছু মনে করতেন। মনে হচ্ছে, দলে শুধু ওঁরই অবদান রয়েছে। আমাদের কোনও ত্যাগ নেই। নতুন নেতা হঠাৎ করে এসে যেভাবে দিল্লির নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন, তাতে গোটা দল একটা জেলার মধ্যে চলে আসছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন