Advertisment

'অভিষেকের জন্যই তৃণমূলের ৬০ বিধায়ক বিজেপিতে আসছে', বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ

'বিজেপি সাংসদের দাবি,তৃণমূল যুব সভাপতির প্রতাপে দলে থেকে কাজ করতে প্রতি পদে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন ওইসব বিধায়করা। গোদের উপর বিষফোড়া হল সিএএ বিরোধীতা। তাই তৃণমূল ভাঙা শুধু সময়ের অপেক্ষা।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতায় মুখর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পথে নেমে আন্দোলন করছে রাজ্যের শাসক দল। আগামী কয়েকদিনও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন নেত্রী। কিন্তু, সিএএ বিরোধিতা নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই ভিন্ন সুর রয়েছে। তাই তৃণমূল থেকে বেরিয়ে অন্য পথের সন্ধানে শাসক শিবিরের ৬০ বিধায়ক। এই তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রীও। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ।

Advertisment

মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই সিএএ নিয়ে রাজ্যে বিরুদ্ধ প্রচার চালাচ্ছেন মমতা। অভিযোগ করেছে গেরুয়া বাহিনী। পাল্টা, রাজ্যজুড়ে অভিনন্দন ব়্যালি করছে বিজেপি। কিন্তু, সেখানেই শেষ নয় তাদের কর্মসূচি। নয়া আইন ঘিরে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে খুঁজে বার করে কৌশলে তা কাজে লাগাতে মরিয়া পদ্ম নেতারা।

আরও পড়ুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোর, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

তৃণমূলের ৬০ বিধায়ক দল ছাড়তে চাইছেন। ইতিমধ্যেই তারা কথাবার্তাও চালাচ্ছে। বীরভূমে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূল ছাড়তে চাওয়া বিধায়করা কী তাহলে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন? হাসতে হাসতে সৌমিত্র জানান, 'ওরা আমাদের দিকেই (বিজেপি) আসবে।' বিজেপি সাংসদের দাবি, 'তৃণমূল যুব সভাপতির প্রতাপে দলে থেকে কাজ করতে প্রতি পদে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন ওইসব বিধায়করা। গোদের উপর বিষফোড়া হল সিএএ বিরোধীতা। তাই তৃণমূল ভাঙা শুধু সময়ের অপেক্ষা।'

কোন বিধায়করা থাকবেন জোড়াফুল ছাড়ার তালিকায়? উত্তরে স্পষ্ট করে নাম বলতে চাননি সৌমিত্র খাঁ। তাঁর ইঙ্গিত, 'জঙ্গলমহলের বেশিরভাগ বিধায়কই যোগাযোগ করেছে বিজেপির সঙ্গে। এমনকী সেই তালিকায় মন্ত্রীও রয়েছেন।' প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভায় রাজ্যের জঙ্গলমহল ভাল ফল করেছে বিজেপি। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তাদের সংগঠনও বেশ পোক্ত।

সিএএ ও এনআরসি বিরোধীতায় মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবাদের জেরে রাজ্যে ট্রেন, বাস পুড়েছে। ভাঙা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। মমতা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আর্জি জানালেও তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই 'ভাঙচুরের নেত্রী। রাজনৈতিক স্বার্থে হিংসায় মদত দেওয়াই ওনার কাজ।'

আরও পড়ুন: “কার কব্জিতে কত জোর বুঝিয়ে দেব”, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

দলে থাকতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যের সঙ্গে মনকষাকষি শুরু হয়েছিল সৌমিত্রের। প্রথমে তৃণমূল যুবার সভাপতি ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দলের যুব সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। পরে তৃণমূল যুবর সভাপতি করা হয় অভিষেককে। যা ঘিরে তৃণমূলের দুই সাংসদের মনোমালিন্যের সূত্রপাত বলে মনে করা হয়। পরে অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ দেগেই তৃণমূল ছাড়েন সৌমিত্র খাঁ। লোকসভায় বিজেপির টিকিটে প্রতিন্দন্দ্বিতা করে বিষ্ণুপুর থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হন তিিনি।

আরও পড়ুন: ‘অধীরের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে বিজেপির’

এর আগে মুকুল রায় দাবি করেছিলেন যে তৃণমূলের প্রায় ১০০ বিধায়ক বিজেপিতে নাম লেখাবেন। বাস্তবে সেই সংখ্যা হাতে গোনা। লোকসভার পর তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া পুরসভাগুলোতেও প্রতাপ বজায় রাখতে ব্যর্থ গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি বাংলায় তিন উপনির্বাচনেও পরাজিত হয়েছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে সৌমিত্রর দাবি ঘিরে জল্পনা বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।

west bengal politics bjp tmc
Advertisment