আজই কি ঘরের ‘কানন’ ঘরে ফিরছেন? বৃহস্পতিবার পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা তৃণমূল ভবনে। সর্বস্তরে জল্পনা, এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে দলে ফিরবেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে শোভন-বান্ধবী তথা অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন, আজকের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিকে এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘‘এগুলো যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিজেপি তার নিজের গতিতে এগোচ্ছে। কারও ইচ্ছে হলে আসবে, কারও ইচ্ছে না হলে আসবে না। এসব নিয়ে বিজেপির কোনও তাপ-উত্তাপ নেই’’।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখী, সঙ্গী বিজেপি নেতা
প্রসঙ্গত, পুরনো দল ও দলনেত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান ক্রমশ বাড়তে বাড়তে সম্পর্কের সুতো ছিঁড়েই গিয়েছিল। পদ্ম পতাকা হাতে তুলে বিষোদগার করেছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক। কিন্তু তারপর ‘বোধোদয়’। ‘মমতার থেকে ফোঁটা নেওয়ার প্রশ্নই নেই’ বলা শোভন মাস ঘুরতে না ঘুরতেই মত বদলান। এ বছর ভাইফোঁটার দিন গুটি গুটি পায়ে বান্ধবী বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে ফের ‘দিদি’র ফোঁটা নিতে মমতা নিবাসে হাজির হন ‘ভাই’ কানন। উল্লখ্য, এবার ভাইফোঁটার আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বৈশাখী বলেছিলেন যে, শোভনবাবুকে ভাইফোঁটার আমন্ত্রণ জানাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভাইফোঁটার দিন বেলা বাড়তেই দেখা যায়, দিদির দুয়ারে হাজির ভাই। এরপরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল বলে মনে করেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
আরও পড়ুন: গরুর দুধে সোনা আছে, বিজ্ঞান না বুঝেই সমালোচনা হচ্ছে: দিলীপ
উল্লেখ্য, বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে শোভন-বৈশাখীকে। তাঁদেরপ সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া আরেক নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। সেদিনের পর আজকের বিধায়কদের বৈঠকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতির জল্পনা নয়া মাত্রা পেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগদানের আগে দলের জনপ্রতিনিধিদের বৈঠক এড়িয়েছিলেন শোভন।
উল্লেখ্য, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও শোভনকে সাসপেন্ড বা বহিষ্কার, কোনও চরম সিদ্ধান্তের পথেই হাঁটেনি মমতা বাহিনী। ফলে এদিনের বৈঠকে বিধায়ক হিসেবে শোভনের উপস্থিতি নিয়ে কোনও বাধা নেই বলেই ব্যাখ্যা রাজনীতির কারবারিদের একাংশের।