Advertisment

'রাজনীতি নেই', গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে সংসদে বললেন নাড্ডা

'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দিষ্ট ধারা ও নিয়ম রয়েছে। যা রাজনীবিদরা নির্ধারণ করে না। স্থির করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।' সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পিছনে 'রাজনীতি নেই'।

গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পিছনে 'রাজনীতি নেই'। সংসদে কেন্দ্রের তরফে এই দাবি করলেন মন্ত্রী জে পি নাড্ডা। স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি নিরাপত্তার বিষয়টি রাজনীতিবিদরা নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিশেষ প্যানেল স্থির করে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। ব্যক্তির জীবনের ঝুঁকির উপর স্থির করা হয়ে থাকে কেউ এসপিজি নিরপত্তা পাবেন কিনা। ফলে গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সঙ্গে মোদী সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই বলে সংসদে জানান জে পি নাড্ডা

Advertisment

তিন দশকের বেশি সময় ধরে এসপিজি নিরাপত্তা পেয়ে এসেছেন সোনিয়া গান্ধী সহ তাঁর পরিবার। সপ্তাহখানের আগে তা প্রত্যাহার করা হয়। যা নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস। চলতি শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদে এই ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। মঙ্গলবার লোকসভায় তাদের দাবি স্পিকার না মানলে ওয়েলে নেমে হইহট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা। পরে তাঁরা কক্ষ ত্যাগ করেন। বুধবার অবশ্য গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভায় আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন: গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নাড্ডা রাজ্যসভায় বলেন, 'এর সঙ্গে রাজনীতির কিছু নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দিষ্ট ধারা ও নিয়ম রয়েছে। যা রাজনীবিদরা নির্ধারণ করে না। স্থির করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।' রাজ্যসভায় চেঁচামেচির মধ্যেই এসপিজি নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় সরকার পক্ষের মতামত জানিয়ে দেন নাড্ডা।

আরও পড়ুন: এসপিজি নিরাপত্তা কী, কারা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন?

অলোচনায় অংশ নেন কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা। গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা ফের বলবতের জন্য দাবি জানান তিনি। সংসদে তিনি বলেন, 'প্রত্যেকেরই জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।' ইউপিএ আমলের উদাহরণ তুলে তাঁর যুক্তি, 'কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারেরর সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নিরাপত্তায় কোনও ব্যাঘাত ঘটানো হয়ননি। ব্যক্তিগত সুরক্ষা, রাজনৈতিক নেতাদের জীবন রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন রইল।'

১৯৮৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর হত্যার পরের বছরই প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য এসপিজি তৈরি হয়। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যার পর থেকে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় ছিলেন। মাস দু'য়েক আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নিরাপত্তাও হ্রাস করা হয়

Read the full story in English

sonia gandhi
Advertisment