Advertisment

পাহাড়ের দুই সরকারি কর্মীকে বদলির নির্দেশ দিল রাজ্য

সরকারবিরোধী কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ পাহাড়ের দুই সরকারি কর্মচারীকে বদলির নির্দেশ দিল সরকার। ঘটনার জন্য বিনয় তামাংকে দুষছে জিএনএলএফ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata banerjee

ব্য়বসায়ীদের ধর্মঘটে যোগ না দিতে আবেদন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। (ফাইল ফোটো)

রাভীক ভট্টাচার্য

Advertisment

সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকা ও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে দুজন সরকারি কর্মীকে বদলির নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।

পাহাড়ে অশান্তির চেষ্টার অভিযোগ জানিয়ে জেলা প্রশাসন স্কুল শিক্ষা দফতরকে দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রেসিডেন্সি, বর্ধমান বা মেদিনীপুর ডিভিশনে বদলি করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরকে লেখা ওই চিঠির প্রতিলিপি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হস্তগত হয়েছে।

এ ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে জিএনএলএফসহ পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলই।

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘‘শিক্ষকসহ বিভিন্ন দফতরে এমন বেশ কিছু সরকারি কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে দার্জিলিং থেকে বদলি হননি। তেমন কিছু আধিকারিক তাঁদের কর্তব্যপালন না করার ফলে মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা পৌঁছয় না। তার চেয়েও বড় কথা, দেখা গেছে এঁরা এমন বেশ কিছু কাজকর্মে জড়িত থাকেন, যা সরকারি কর্মী হিসেবে তাঁদের আওতায় পড়েনা। আইনানুসারে এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি উদ্যোগের সহায়তা পান, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।‘’

তিনি আরও বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক ঘটনায় দেখা গেছে এই শিক্ষকরা বনাঞ্চলের অধিকারের নামে স্থানীয় মানুষদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। একটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে একজন শিক্ষক সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছেন।’’

গত এক বছরে শিক্ষক ও নার্স মিলিয়ে এরকম ৬-৭ জনকে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের উপর আমরা নজর রাখছি। আচমকা হানা দিয়ে আমরা দেখেছি কাজের দিনে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ১০৫ দিনের লাগতার বনধে সরকারী কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

এ ব্যাপারে একজন শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভেবেছেন।

আরও পড়ুন, 21 July preparation: বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, ২১ জুলাইয়ের আগে রব তৃণমূলে

লীলা কুমার গুরুং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘‘আমি শনিবার স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছি। আমি আদালতে যাব। বনভূমির অধিকার নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে আমি যুক্ত রয়েছি। এ নিয়ে আমি স্থানীয়দের সহ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের দানি, ২০০৬ সালের বনভূমি অধিকার আইন দার্জিলিংয়ে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হোক। আমার ধারণা সে কারণেই আমায় বদলি করা হচ্ছে। শিক্ষা জিটিএ-র অধীনে হওয়া সত্ত্বেও আমাকে এ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।’’

লীলা কুমার গুরুং হিমালয়ান ফরেস্ট ভিলেজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে কালিম্পংয়ের কুমাই হাইস্কুল থেকে নেপাল সীমান্তের রিম্বিক হাইস্কুলে বদলি করা হয়েছে।

এক সরকারি আদিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও উনি সোশাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী বক্তব্য রাখেন। একাধিকবার সারপ্রাইজ ভিজিটে দেখা গেছে উনি স্কুলে হাজির নেই।’’

জিএনএলএফের মুখপাত্র নীরজ জিম্বা এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং। তাঁর বক্তব্য, বিনয় তামাংয়ের বিরোধিতা করার জন্যই লীলা কুমার গুরুংকে বদলি করা হয়েছে।

Mamata Banerjee Gorkha Territorial Administration
Advertisment