Dilip Ghosh BJP: মুকুলের তৃণমূলের ফেরার দিনই ফের প্রকট রাজ্য বিজেপির কলহ। দিলীপের ডাকা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে গরহাজির ওই অঞ্চলের তিন বিধায়ক। আসেননি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। তিন বিধায়কের অনুপস্থিতিতেই নমো নমো করে বৈঠক সারলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। সেইসঙ্গে মুকুলের দলত্যাগ নিয়ে মন্তব্য করলেন, "আমি কী করব?"
শুক্রবার বনগাঁয় বিজেপির সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে উপস্থিত হন দিলীপ ঘোষ। সেই বৈঠকে থাকার কথা ছিল সাংগঠনিক জেলার ৬ বিধায়ক এবং সাংসদ শান্তনুর। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন মাত্র তিনজন বিধায়ক। আসেননি শান্তনু ঠাকুরও। কার্যত বাকিদের নিয়েই বৈঠক করেন দিলীপ। কিন্তু অনেকেই অনুপস্থিত থাকায় কিছুটা অসন্তুষ্ট রাজ্য সভাপতি। কেন গরহাজির অনেকে, তার উত্তরে দিলীপ বলেন, "আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সবাইকে। তাঁরা নিশ্চয়ই আসবেন।"
আরও পড়ুন Dilip Ghosh: বিজেপিতে বাড়ছে বেসুরো নেতা-নেত্রী, তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
কিন্তু গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস এবং বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়া গরহাজির ছিলেন। শান্তনুও আসেননি। অগত্যা তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বৈঠক করেন দিলীপ। পরে বৈঠক শেষে তিনি কিছুটা রেগেই বলেন, "কিছু কিছু লোক ভোটে জেতার জন্য বিধানসভার আগে এসেছিলেন। এরপর বিভিন্ন অভিযোগে বেসুরো হয়েছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। দলের সম্পদ কর্মীরা। তাঁরা দলের সঙ্গেই আছেন।"
আরও পড়ুন ‘নোংরা লবিবাজি চলছে’, কড়া তোপ অনুপমের
দিলীপের বৈঠকের সময় তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়। সেখবর ছিল দিলীপের কাছে। সে নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে রাজ্য সভাপতি বলেন, "আমি কী করব? আমাদের দলের অনেক কর্মী ঘরছাড়া,, সবাইকে শান্তিতে বাড়ি ফেরানোই প্রধান লক্ষ্য, কে গেল কে এল তা নিয়ে ভাবতে চাই না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন