গতকালই ত্রিপুরায় আক্রান্ত দলের যুবনেতাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম-এর উঠোনে দাঁড়িয়েই বিজেপি এবং ত্রিপুরা সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। এবার ত্রিপুরায় আরও শক্তিবৃদ্ধি করতে কোমর বাঁধছে তৃণমূল। আজ, শুক্রবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন দলের ৮ সাংসদ। দলে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।
গতকালই আগরতলায় পৌঁছে যান রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। সেখানে আগে থেকেই রয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আজ যাচ্ছেন, দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল, অপরূপা পোদ্দার, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, আবু তাহের খান। সেখানে দলীয় বৈঠকের পর পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট আমবাসায় তৃণমূল প্রতিনিধি দলের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন অমল ভৌমিক তৃণমূল কর্মী এবং সুরজিৎ সুত্রধর যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের গাড়ির চালক বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ দোলা সেন-সহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন ‘আমাদের হাতেও এখানে আইন আছে’, ত্রিপুরা কাণ্ডে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতার
ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলছে সুদীপ জয়াদের। বৃহস্পতিবার তাঁদের দেখে বেরিয়ে এসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি দেন মমতা। বলেন, “যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে ওখানে। ভাইরে কেউ গেলেই তাঁদের গ্রেফতারির মুখে পড়ছেন। কিন্তু আমরা পিছু হঠব না, দেখে নেব।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই ইঙ্গিত ছিল, ত্রিপুরায় বিজেপির উপর আরও চাপ বাড়াবে তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে নির্বাচন এখনও দুবছর বাকি। তার আগেই জমি শক্ত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। এদিন তৃণমূল সাংসদদের ত্রিপুরা যাত্রা একপ্রকার তারই অঙ্গ বলা যেতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন