Advertisment

মাঠে নামার আগেই আবার ভাঙন মিমে, তৃণমূলে যোগ দিলেন শীর্ষ নেতা

আব্বাস সিদ্দিকিকে সামনে রেখে বঙ্গভোটের ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন ওয়েইসি। আসন্ন নির্বাচনে আব্বাসকেই সমর্থনের কথা বলেছিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ। জল মাপছিল শাসকদল তৃণমূলও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কয়েকদিন আগেই রাজ্যে এসে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেছেন অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মজলিশ-এ-মুসলিমিন বা এআইএমআইএমের সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সেই বৈঠক ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা তৈরি হয়। এবার রাজ্যে মিমের কার্যনির্বাহী সভাপতিকে ভাঙিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার তৃণমূল ভবনে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নেন শেখ আবদুল কালাম। তাঁর সঙ্গে আরও বহু মিম নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisment

আব্বাস সিদ্দিকিকে সামনে রেখে বঙ্গভোটের ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন ওয়েইসি। আসন্ন নির্বাচনে আব্বাসকেই সমর্থনের কথা বলেছিলেন হায়দরাবাদের সাংসদ। জল মাপছিল শাসকদল তৃণমূলও। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভাগাভাগি রুখতে কৌশল সাজায় তৃণমূলও। এর আগেও বহু মিম নেতা-কর্মীকে ভাঙিয়ে এনেছে শাসকদল। কিন্তু কয়েকদিন আগে আব্বাস-ওয়েইসি বৈঠক ঘিরে চাপ বাড়ছিল তৃণমূলের। মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হলে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে পারে। কিন্তু এদিন মিমের কার্যকরী সভাপতি যোগ দেওয়ায় ওয়েইসির দল কিছুটা ধাক্কা খেল বলাই যায়।

আরও পড়ুন ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও ‘লাভ জিহাদ’ আইন! বিজেপি নেতার মন্তব্যে শোরগোল

কালাম এদিন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের হাত ধরে দলে যোগ দেন। কালাম বলেছেন, "বাংলা হল শান্তির মরুদ্যান। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। সেটাকে ঠিক করতে হবে, তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।" তাঁর মতে, আরও অনেক আগে রাজ্যে আসা উচিত ছিল মিমের। কিন্তু এখন রাজনৈতিক এন্ট্রি সঠিক হবে না বলে মন্তব্য তাঁর। তিনি আরও বলেছেন, "আমি বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার এবং মালদার মতো জায়গায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বিষাক্ত বাতাস থেকে দূরে থাকতে চান। তাঁদের তৃণমূলেই ভরসা রয়েছে। আমিও তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।"

আরও পড়ুন পৃথক রাজ্যের দাবিতে মোদীকে চিঠি তামাংয়ের, রাজ্যের উপর চাপ বৃদ্ধির কৌশল?

গত নভেম্বর মাসে, মিমের শীর্ষ নেতা আনোয়ার পাশা-সহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁরা তখন দাবি করেন, হায়দরাবাদের দল বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণ করে পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাজ্যে ১০০-১১০ আসনে প্রার্থী দেবেন তিনি। এবং রাজ্যে এই আসনগুলি মুসলিম অধ্যুষিত, লোকসভা ভোটেও ফ্যাক্টর ছিল এই আসনগুলি। সেই জায়গায় মাঠে নামার আগেই আব্বাস ও ওয়েইসির রণনীতি ভেস্তে দিতে চায় তৃণমূল।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc AIMIM Bengal Polls
Advertisment