আরাবুলের গ্রেফতারিকে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা বলে অভিযোগ করল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সমস্ত সন্ত্রাস ও রক্তপাতের পর আরাবুলের এই গ্রেফতারি চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই চলছে পুলিশ, অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিকে সিপিএমের মতে, শুক্রবারের খুনের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবগতিতেই ঘটেছে।
‘ভাঙড়ের ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট কীরকম হতে চলেছে,’’ মন্তব্য করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর।
ভাঙড়ে খুনের প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল (এক্সপ্রেস ফোটো- শুভম দত্ত)
ভাঙড়ের ঘটনায় নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেছেন, ‘‘এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না, আমার বলার মতো কোনও ভাষা নেই। সরকারের উচিত ভাঙড়ের ঘটনায় হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা।’’
আরও পড়ুন, আগামিকাল পঞ্চায়েত ভোট, অাশা-আশঙ্কার দোলাচল
শনিবার মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ভাঙড় আন্দোলন সংহতি কমিটির মিছিলে পা মেলান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। শুক্রবার ভাঙড়ে নির্দলপ্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত এক মিছিলে খুন হন ২৮ বছরের হাফিজুল মোল্লা। কাশীপুর থেকে মাছিভাঙা পর্যন্ত ওই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মিছিলের সময়েই বুকে গুলি লাগে হাফিজুলের। শাসকদলের মদতপুষ্টরাই এ ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ধৃত আরাবুল ইসলামকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার, আরাবুলের ভাঙড়ের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ তাজা দেশি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ভাঙড়ে সিপিআই (এমএল) রেডস্টার নেতা অলীক চক্রবর্তী (এক্সপ্রেস ফোটো- পার্থ পাল)
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে। শনিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হলে ২২ মে পর্যন্ত ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিতে প্রার্থীর দুই ছেলেকে অপহরণ! অভিযুক্ত আরাবুল
আরাবুলের বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার তাজা বোমা (এক্সপ্রেস ফোটো- পার্থ পাল)
সংবাদসংস্থা পিটিআই এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আরাবুলের ভাই ও ছেলের খোঁজ চলছে।