২ মে ফলাফল ঘোষণার পর চার মাসে বঙ্গ বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে এসেছে ৭১-এ। দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গের বিধায়কও দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। ভোট পরবর্তী রক্তক্ষরণের জেরে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। এই অবস্থায় বিধায়কদের দলবদল নিয়ে প্রশ্নে কার্যত মেজাজ হারালেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, দলবদল এখন রাজ্যে ফ্যাশন। কিন্তু কেন তাঁরা বিজেপি ছাড়ছেন তা নিয়ে সদুত্তর নেই তাঁর কাছেও।
প্রসঙ্গত, শনিবার কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যোগ দিয়েই তিনি বলেছেন, তাঁর মন বরাবর পড়ে ছিল তৃণমূলে। তার সঙ্গে এও বলেছেন, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয় বিজেপি। বিজেপি বাংলার মানসিকতা বোঝে না। সৌমেন রায়ের দলত্যাগের ফলে গত ১ সপ্তাহে তিন বিধায়ক বিজেপি ছাড়লেন। গত সোমবার বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, মঙ্গলবার বাগদার বিশ্বজিৎ দাস এবং গতকাল কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়। বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত, আর এটা আটকানোর উপায় নিয়ে মুখে কুলুপ পদ্মশিবিরের।
সৌমেনের দলত্যাগের পর বীরভূমের সিউড়িতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "তিনি তৃণমূল থেকে এসেছিলেন। বিজেপির টিকিটে ভোটে জেতেন। এখন আবার তৃণমূলে চলে গেছেন। কারও ব্যবসা রয়েছে। অন্য কোনও লাভের বিষয় আছে। তাই তাঁরা চলে যাচ্ছেন।" কিন্তু কেন তাঁরা যাচ্ছেন, সেই প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, "কে যাবেন, কেন যাবেন তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। মুকুলবাবুর মতো নেতা যেতে পারেন যখন তখন যে কেউ যেতে পারেন। দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
আরও পড়ুন ‘কলকাতার কেস ডাকল দিল্লিতে’, ED-র মুখোমুখি হতে রাজধানীতে অভিষেক
এই দলবদল আটকানোর উপায় কী, সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপের মন্তব্য, "বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রথম থেকেই ৫-৬ জনের সমস্যা ছিল। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু তাঁদের বাধ্যবাধকতার জন্য দল ছেড়েছেন। বিধায়করা গরু-ছাগল তো নয়, যে আটকে রাখব। তৃণমূল কি পেরেছে? ডজন ডজন বিধায়ক-সাংসদ পালিয়েছিল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন