/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/Dilip-Subrata.jpg)
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপি সাংগঠনিক ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন করে চলেছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে পরিবর্তন না হলেও রাজ্য যুব মোর্চা, রাজ্য মহিলা মোর্চায় নতুন নেতৃত্ব দায়িত্বে এসেছে। মূল সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অনেককে। যুব মোর্চার কমিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাত বেঁধেছে মোর্চার সভাপতির। এরইমধ্যে এরাজ্য থেকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়েছেন মুকুল রায়। কেন্দ্রীয় সম্পাদক হয়েছেন অনুপম হাজরা। বুধবার সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে দায়িত্ব দেওয়া হল অমিতাভ চক্রবর্তীকে। সরিয়ে দেওয়া হল দীর্ঘদিনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে।
রাজ্য বিজেপিতে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে রয়েছেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে দলে চর্চা রয়েছে। রাজারহাটে একই বাসভবনে তাঁরা থাকেন। বুধবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা অমিতাভ চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি সহকারী সংগঠন সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন অমিত শাহের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে দিল্লি উড়ে গেলেন ধনকড়
এর আগে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদক ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী। তারপর দলের সহকারি সংগঠন সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন ওড়িশাতে। ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে এরাজ্যে দলের সহকারি সংগঠন সম্পাদকের দায়িত্বে আসেন অমিতাভ চক্রবর্তী। এবার সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এই পরিবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন “কাজ করতে গেলে কারও ছাড়পত্র লাগে না”, শুভেন্দুর মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক খোলনোলচে যেভাবে বদলানো হচ্ছে তাতে এরপর আরও বেশ কিছু পরিবর্তন হতে পারে। জানা গিয়েছে, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে জেলার বিভিন্ন পদাধিকারির বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে রাজ্য দফতরেও। সেসব ক্ষেত্রে এবার নাড়াচাড়া হতে পারে বলে মনে করছে দলের একাংশ।