বাংলার পুরভোটে ঘাসফুল শিবিরের জয়জয়কার। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, খড়্গপুরের মোট ৩৫টি ওয়ার্ডের ২০টিতে জয়লাভ করে পুরসভা দখলে রাখল তৃণমূল। আর প্রবল সবুজ ঝড়েও পদ্মের মান বাঁচালেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভার পর এবার পুরভোটেও জিতলেন তিনি। বিধায়কের সঙ্গে সঙ্গে এবার তিনি কাউন্সিলরও। একই বছরে জোড়া প্রাপ্তি হিরণের।
প্রসঙ্গত, খড়্গপুর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়। অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটের সময় খড়্গপুর সদর থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন হিরণ। সেই সাফল্যের সিঁড়ি বেয়েই পুরভোটেও গেরুয়া শিবির আস্থা রেখেছিল তারকা বিধায়কের উপর। ৩৩ নং ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল হিরণকে। বিফলে যায়নি বিজেপির আস্থা। বুধবার ভোটের ফলপ্রকাশ হতেই যেখানে দিলীপ-গড়ে সবুজ আবির উড়িয়ে তৃণমূলের উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে, সেখানে নিজের ওয়ার্ড থেকে জিতে পদ্মের মান বাঁচালেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
<আরও পড়ুন: ভারতই তাঁর ধর্ম-কর্ম, ‘পাঠান’-এর টিজারে দেশপ্রেম উস্কে দিলেন শাহরুখ>
উল্লেখ্য, ৩৩ নং ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের জহর পালকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন বিজেপির তারকা বিধায়ক। সবুজ ঝড়ে বিজেপির মান রাখতে পেরে হিরণ যেন এবার আরও আত্মবিশ্বাসী। বললেন, "ঐতিহাসিক জয়। এটা আমার ব্যক্তিগত জয়, কখনওই বলব না। এই জয় মানুষের। তাঁদের বিশ্বাসের। ভারতীয় জনতা পার্টির জয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীরা একফোঁটা জলের জন্য হাহাকার করে গিয়েছেন। বঞ্চনা, লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এই জয়-ই মানুষের প্রতিবাদী উত্তর। মানুষ-ই শেষ কথা।"
পুরভোটে জিতে হিরণের প্রতিশ্রুতি, "বিজেপি বিধায়ক হিসেবে গত দশ মাস ধরে নিরন্তর কাজ করে চলেছি মানুষের জন্য। আগামী ৫ বছরও মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আরও কাজ করে যাব।" বিরোধী প্রার্থীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, "জহরবাবু আমার পিতৃস্থানীয়, অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। ওঁর ছেলে ছোটকা পাল আমার ভাইয়ের মতো, ৩৩ নং ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা ওঁরা, সবাই মিলে একসঙ্গে এলাকার উন্নয়ন করব।"