বিনাযুদ্ধেই একের পর এক পুরসভা শাসকদলের দখলে চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন পুরসভায় প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভয়মুক্ত পরিবেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে চার পুরনিগম এবং রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোটের আর্জিতে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এদিন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে যায়।
Advertisment
এদিন কমিশনের দফতরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে এদিন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিকর ডাক দিয়েছিল যুব মোর্চা। বিক্ষোভ সরাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। ৪০-৫০ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয় মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ এবং কল্যাণ চৌবেকে।
এদিন কমিশন থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু বলেন, "পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছি কমিশনের কাছে। হাইকোর্টের নির্দেশই কমিশনকে মেনে চলতে বলেছি। বিধাননগরে আধা সেনা মোতায়েন না করে শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব নয়। হাইকোর্টও বলেছে, কোনও অশান্তি হলে কমিশন দায়ী থাকবে। অনেক জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি আমাদের প্রার্থীদের।"
ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঁইথিয়া, বজবজ, দিনহাটা পুরসভা দখল হয়ে গেছে তৃণমূলের। বোলপুর পুরসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে কোনও বিরোধী নেই। শুভেন্দু বলেন, "সাঁইথিয়া-বজবজ-দিনহাটা-বোলপুরে ভোট বাতিল করতে হবে। বিজেপি প্রার্থী-এজেন্টদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।"
এদিন উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা কর্মসূচি পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সেই সরকারি অনুষ্ঠান নিয়েও আপত্তি জানান শুভেন্দু। বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেক দিন নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছেন। পুরসভা এলাকাগুলিতে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য জমির পাট্টা বিলি করা হচ্ছে।"