'৩৩ ওয়ার্ডেই জিতব, প্রার্থীদের প্যাড ছাপাতে বলেছি', চন্দননগরে আত্মবিশ্বাসী ইন্দ্রনীল সেন

'চার আনার নকুলদানা তার আবার রসিদ', বামেদের কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রীর।

'চার আনার নকুলদানা তার আবার রসিদ', বামেদের কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Indranil Sen

এদিন প্রার্থীদের প্রচারে পা মিলিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ছবি- উত্তম দত্ত

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি চন্দননগর, বিধাননগর-সহ রাজ্যের চার পুরনিগমে নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রচারে খামতি নেই শাসক থেকে বিরোধী কারওই। চন্দননগরে পুরবোর্ড দখলে রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। এতটাই যে রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রার্থীদের কাউন্সিলর প্যাড ছাপাতে বলে দিয়েছেন তিনি। ৩৩টি ওয়ার্ডেই জিতবে তৃণমূল।

Advertisment

এদিন প্রার্থীদের প্রচারে পা মিলিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। তার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, চন্দননগরে পুরবোর্ড গড়া নিয়ে চিন্তিত নই একদম। বোর্ড আমরাই গড়ব। ৩৩টি ওয়ার্ডেই আমাদের প্রার্থীরা জিতবেন। সমস্ত মানুষ, সদ্যোজাত শিশুও জানে কারা জিতবে। ১৪ তারিখ গণনার দিন পরে নয়, গণনাকেন্দ্রে সবুজ আবির মেখেই যাবেন কর্মীরা। আমি প্রার্থীদের বলে দিয়েছি, আজই যেন তাঁরা কাউন্সিলর প্যাড ছাপিয়ে নেন। যাতে ১৫ তারিখ থেকেই তাঁরা মানুষকে পরিষেবা দিতে পারেন।

বামেদের নিশানা করে ইন্দ্রনীল সেন বলেছেন, "চন্দননগরে সব হাফবয়েল নেতা-নেত্রীরা আসছে। বার বার যাঁরা হারছে তাঁরাই আসছে। ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিরোধীরা বিধানসভায় এখানকার বিখ্যাত মৃত্যুঞ্জয় মোদক, পঞ্চাননের বড় রসগোল্লা পেয়েছে। এখন আবার চার আনার নকুলদানাদের নিয়ে আসছে। চার আনার নকুলদানা তার আবার রসিদ। তাঁদের নিয়ে আবার আমাকে কথা বলতে হবে, অন্য কথা বলুন।"

আরও পড়ুন সাঁইথিয়া, বজবজের পর রাজ্যের আরও এক পুরসভা তৃণমূলের দখলে

Advertisment

উল্লেখ্য, গত পুরনির্বাচনে ২০১৫ সালে ২১টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। এই পুরসভা স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালে। তার আগে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত চন্দননগর ফরাসি ভারতের অধীনে ছিল। ১৯৫৫ সালে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় এই জনপদ। ১৯৯৪ সালে পৌরনিগম আইন অনুযায়ী চন্দননগর পৌরসংস্থায় পরিণত হয়।

Mamata Banerjee indranil-sen Chandannagar tmc