২০১১, ২০১৬ তারপর ২০২১। পাড়ার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের হ্যাটট্রিক দেখল ভবানীপুর। রেকর্ড ভেঙে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে গড়লেন আরও এক অনন্য রেকর্ড। যা উপনির্বাচনে একপ্রকার নজিরবিহীন। কয়েক মাসে আগে যে কেন্দ্রে থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৫৭.৭১ শতাংশ ভোট। কয়েক মাসের ব্য়বধানে তা একলাফে বাড়ল ১৫ শতাংশ।
প্রদত্ত ভোট শতাংশের হিসাব-নিকেশে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট। শোভনদেবের থেকে ১৫ শতাংশ বেশি। শোভনদেব বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়েছিলেন ২৮,৭১৯ ভোটের ব্যবধানে। বিজেপির ভোট শতাংশ ছিল ৩৫.১৬ শতাংশ। এবার প্রার্থী বদল করেও লাভ হয়নি গেরুয়া শিবিরের। বরং ভোট শতাংশ আরও কমে হয়েছে ২২ শতাংশের মতো। শোচনীয় পরাজয় প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের।
শতাংশের মতো প্রদত্ত ভোটের ব্যবধানও অনেকটা বাড়িয়েছেন মমতা। শোভনদেবের ২৮ হাজার থেকে তিরিশ হাজার ব্যবধান বাড়িয়ে ৫৮ হাজার ভোট পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যা এককথায় নজিরবিহীন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরে ভোট পড়েছে মোট ১ লক্ষ ১৮ হাজারের কাছাকাছি। পোস্টাল ব্যালট ছিল ৭০২টি। পোস্টাল ব্যালট মমতার ঝুলিতে পড়েছে ৫৫৪টি। এখানেও সিংহভাগ তাঁরই দখলে ছিল। আর প্রদত্ত ভোটের মধ্যে প্রায় ৮৫ হাজার পেয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন মিনি ভারতের জয়ই দিল্লির মসনদ দখলের হাতিয়ার তৃণমূলের, কোন অঙ্কে ছক কষছেন মমতা?
সবমিলিয়ে মমতার ঝুলিতে ৮৫ হাজার ২৬৩টি ভোট। যা প্রদত্ত ভোটেক ৭১.৯১ শতাংশ। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল দ্বিতীয় হয়েছেন। মোট ভোট পেয়েছেন সাড়ে ২৬ হাজারের মতো। ২২.২৯ শতাংশ ভোট। একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছিল তৃতীয়। এবার উপনির্বাচনে বামেরা প্রার্থী দেয় ভবানীপুরে। একা লড়ে সিপিএম এবার পেয়েছে ৪,২০০ ভোটের মতো। শতাংশের হিসাবে সাড়ে তিন শতাংশ। নির্বাচনে যা ছিল ৪.০৯ শতাংশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন