অবশেষে জল্পনার অবসান। বঙ্গে একুশের মহারণের আগে বামেদের সঙ্গে জোটে সায় দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি। ২০১৬-র মতো একুশের নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়বে কংগ্রেস।
গত অক্টোবরে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছিল, বাংলার নির্বাচনে আসন সমঝোতা করে লড়বে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে ঠেকাতে এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু বর্তমানে দুই দলই রাজ্যে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। কয়েকদিন আগেও কংগ্রেসের এক এবং বামেদের দুই বিধায়ক অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দুই দলেরই রক্তক্ষরণ অব্যাহত। এই অবস্থায় গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল সবারই জানা। ক্ষমতা দখল তো দূর, তিন অঙ্কও পেরোতে পারেন সম্মিলিত আসন সংখ্যা।
গত নভেম্বরে অধীর চৌধুরির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বামেদের সঙ্গে আসনরফা নিয়ে আলোচনা করেন রাহুল গান্ধী। তার আগে দলের কার্যকরী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী জোটে সবুজ সংকেত দেন বলে সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল না করতে পারলেও বামেদের টপকে তুলনামূলক ভাল ফল করে কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হন কংগ্রেসেরই আবদুল মান্নান। এবারও সেই লাভের অঙ্কই কষছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ রাহুলদের
গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় দুটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। বামেদের ঝুলি শূন্য। কংগ্রেসের অস্তিত্বও এখন দু-তিনটে জেলায় সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় একক ভাবে লড়ার জায়গায় নেই দুই পক্ষই। অগত্যা জোটই একমাত্র পথ। তবে গত বিধানসভায় জোট হলেও ভোটবাক্সে তার ফল প্রতিফলিত হয়নি। বেশ কিছু খাপছাড়া বিষয় ছিল। সেবারের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে নাহয় সেদিকেই হয়তো এবার নজর রাখবে দুপক্ষ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন