ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) জেরে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্নে মমতার সাংবাদিক বৈঠকেরই পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি এদিন বলেন, বলেন, "গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, আমি জানি না সেই তালিকা আছে কি না। কীসের ভিত্তিতে বলেছেন, কোথা থেকে খবর পেলেন, তার কোনও সূত্র আমরা পাইনি।"
বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রের টাকা নিয়ে এদিন কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে আগামিকাল, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলাইকুন্ডায় মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা মমতার। সেখানেই ক্ষয়ক্ষতির একটি রিপোর্ট তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ বলেন, "আয়লার সময় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে দিতে চেয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী নেত্রী হিসাবে কেন্দ্রকে সেই টাকা দিতে মানা করেছিলেন।"
আরও পড়ুন শুক্রবার Yaas বিপর্যয় দেখতে দুই ২৪ পরগনায় মুখ্যমন্ত্রী, কলাইকুন্ডায় মোদী-মমতা বৈঠক
তিনি আরও বলেন, "কিন্তু আমরা বারণ করছি না, আমরা চাই কেন্দ্র টাকা দিক। তালিকার ভিত্তিতে পারলে সোজাসুজি ক্ষতিগ্রস্তদের দিক। কারা কারা সাহায্য পেল তার তালিকা যেন ব্লক অফিসে বা পঞ্চায়েত অফিসে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, না হলে স্বচ্ছতা থাকবে না।"
আরও পড়ুন ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ‘দুয়ারে ত্রাণ’ পরিষেবা, ১ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে বলেছেন, ‘দুয়ারে সরকার’-এর আদলে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কীভাবে ত্রাণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে, তা বিস্তারিত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে। এবার আর কারও মধ্যস্থতা নয়। যিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তিনি সরাসরিই আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর ১৯ থেকে ৩০ জুন- এই সময়ে পর্বে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা আবেদনগুলি খতিয়ে দেখবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন