আদিবাসী-মতুয়া-লোকশিল্পীর পর এবার কৃষকদের নিয়েও দড়ি টানাটানি তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। বঙ্গ সফরে এসে রাজ্যের ধানের গোলা বর্ধমানে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে মুষ্টিভিক্ষা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ঝোলা কাঁধে পাঁচ কৃষকদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছিলেন একমুঠো করে চাল। সেই পাঁচ কৃষকই রবিবার সন্ধেয় দেখা গেল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। শাসকদলের দাবি, তাঁরা তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সমর্থক। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
এমনটা প্রথম নয়। এর আগে উত্তরবঙ্গে আদিবাসী মহিলা গীতা মাহালির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন অমিত শাহ। পরে সেই মহিলাকে সরকারি চাকরি দেয় রাজ্য সরকার। বোলপুর সফরে এসে যে বাউল শিল্পীর বাড়িতে খেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরে তাঁকেই দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায়। এমনকী তাঁর মেয়ের উচ্চশিক্ষার বন্দোবস্ত করে তৃণমূল। একই চিত্র দেখা গেল এই ক্ষেত্রেও। যে পাঁচ কৃষকের বাড়ি থেকে শস্য সংগ্রহ করেছিলেন নাড্ডা, সেই নিতাই মণ্ডল, পাঁচকরি মণ্ডল, সনৎ মণ্ডল, উত্তম মণ্ডল এবং মথুরা মণ্ডলকে রবিবার সন্ধেয় দেখা গেল কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে।
আরও পড়ুন জলের বোতলের দাম কত? মমতার নিশানায় নাড্ডা
বিধায়কের দাবি, "এই পাঁচজন কৃষকের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সমর্থক। কিন্তু তাঁদের কোনওদিন টাকা দিয়ে দল করার কথা বলেনি তৃণমূল। কিন্তু নাড্ডা তাঁদের বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছেন। আজ তাঁরা এখানে তৃণমূলের প্রতি সমর্থন দেখাতে এসেছেন। এতে আমরা খুবই খুশি।" এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগেও বোলপুরের বাউলশিল্পী বাসুদেব দাস অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদী প্রকল্পগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন