তিন বছর বাদে পাহাড়ে বিমল সহযোগী রোশন গিরি। এবার ৬ ডিসেম্বর পাহাড়ে আসছেন বিমল গুরুং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং পাহাড়ে ফেরার খবরে উৎসাহিত তাঁদের অনুগামীরা। এদিকে অনীত থাপা বলেছেন, "পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। তবে গণতান্ত্রিক ভাবে সভা করার অধিকার সবারই আছে।"
কলকাতায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেরিয়েছেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। সাংবাদিক বৈঠক করেছেন গুরুং। তারপর তাঁদের পাহাড় যাত্রা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। মমতা সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন গুরুং। বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপির। পাহাড়ে ওঠার পথ প্রশস্ত করেছেন কলকাতায় এসে। রোশনের কথায় মনে করা হচ্ছে, বিনয় তামাং ও অনীত থাপাদের বিরোধিতা ধোপে টিকল না। তাঁরা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তাঁদের অনুরোধ ছিল, বিমল, রোশনদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা যেন পাহাড়ে না যায়। তাহলে পাহাড়ের শান্তি বিঘ্নিত হবে।
আরও পড়ুন ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুর থেকে জেলা সফরে মমতা
শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন রোশন গিরি। তাঁকে স্বাগত জানাতে ভিড় করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুংপন্থীরা। রবিবার কার্শিয়াং মোটর স্ট্যান্ডে সভা করার কথা রয়েছে রোশন গিরির। পাহাড়ের নানা এলাকা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, পাহাড়ের অধিবাসীদের জল মাপতে এসেছেন রোশন। পরিস্থিতি আয়ত্তে বুঝতে পারলেই পাহাড়ে পা রাখবেন বিমল গুরুং।
রোশন গিরি বলেন, "বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বের ওপর বিশ্বাস রয়েছে পাহাড়ের মানুষের। তিন বছর ধরে পাহাড়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে থেকেছে। বিজেপি ১১ বছরে কিছু করেনি। পাহাড়ের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করেনি। আমরা দিদির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। ২০২৪ -এ যে দল গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করবে তাদের ভোট দেব। সম্ভবত ৬ তারিখ শিলিগুড়িতে আসবেন বিমল গুরুং। সেখানে বাঘাযতীনে সভা করার কথা আছে।" রোশনের অভিযোগ, "বিনয় তামাং ও অনীত থাপা পাহাড়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষন করছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। বিমল গুরুং এলে গণতন্ত্র ফিরবে পাহাড়ে।"
এদিকে অনীত থাপা বলেছেন, "গণতন্ত্রে সবার বলবার অধিকার আছে। বিগত তিন বছরের চেষ্টায় পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। কী উদ্দেশ্যে পাহাড়ে আসছে তা জানা দরকার। তবে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করলে বরদাস্ত করা হবে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন