বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটি এলাকায় বিজেপির 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' প্রকাশ্যে। এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এমনকি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। খবর, এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার নানা এলাকা থেকে বিক্ষুব্ধ বিজেপির কর্মীরা জেলা কার্যালয়ে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের ক্ষোভ জেলা সভাপতি সন্দীপ-নন্দী সহ বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে।
এইসময় হঠাৎ ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সঙ্গে বিক্ষুদ্ধদের বচসা বাধে। শুরু হয় যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। বিজেপি অফিসে যথেচ্ছ ভাঙচুর চলে। অন্যদিকে, অফিসের ছাদ থেকে ইট পাথর, আসবাবের টুকরো উড়ে আসতে থাকে। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ তারা পুরনো কর্মী, রক্ত দিয়েছেন, মার খেয়েছেন। কিন্তু যাঁদের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাঁদেরই দলে নেওয়া হচ্ছে। শোনা হচ্ছে না কর্মীদের কথা। দলে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। তারা বারবার সাংসদ থেকে দলীয় নেতৃত্ব সবাইকে জানিয়েছেন। কোনও ফল হয়নি।
আরও পড়ুন লকডাউনে ‘ভোকাট্টা’! কেশপুরে শুভেন্দুর নিশানায় ঘাটালের সাংসদ দেব
তাদের অভিযোগ, 'আজ দলের অফিস থেকে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাদের প্রথম আক্রমণ করে।' পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপি ততটা সংগঠিত নয়। কিন্তু লোকসভা ভোট থেকে সংগঠন বাড়তে থাকে। লোকসভায় বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন এসএস আহলুওয়ালিয়া। জেপি নাড্ডার সাম্প্রতিক বর্ধমান সফরে সাড়া মিলেছে ব্যাপক। এদিকে, এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে দু'পক্ষ থেকেই পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাইক ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িগুলোতে।এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে বর্ধমান থানার পুলিশ আটক করেছে। এছাড়াও দু'পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ইটের আঘাতে কয়েকজন সাংবাদিকও জখম হয়েছে। বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি প্রবাল রায়ের অভিযোগ, এই ঘটনায় কোন বিজেপি কর্মী-সমর্থক জড়িত নেই। পিকের টিম ও তৃণমূল টাকা দিয়ে কিছু সমাজবিরোধীকে হামলা করতে পাঠিয়েছিল।