এমনটাই ইঙ্গিত ছিল, আর সেটাই হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্যের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে বাংলায় আল-কায়দার জাল বিস্তার, বোমা তৈরির কারখানার রমরমা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন ধনকড়। রাজ্যের প্রশাসনিক আমলাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় বলে তোপ দাগলেন সাংবাদিক বৈঠকে। এদিন তিনি নাম না করে নিশানা করেছেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপেদষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে। অবসরপ্রাপ্ত ডিজি কীভাবে এই পদ পেলেন তা প্রশ্ন তুলেছেন ধনকড়।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, রাজনৈতিক হিংসা তুলনায় বেড়েছে, জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে একাধিক বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন এদিন ধনকড়। দিল্লিতে বসেই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। বলেন, রাজ্যে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা আছেন। যিনি আবার অবসরপ্রাপ্ত ডিজি। কিন্তু কী করছেন তিনি, শুধু রাজনৈতিক কাজে যুক্ত থাকাই তাঁর দায়িত্ব? এছাড়াও রাজ্যের আইপিএস এবং আইএএসদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আলোচনা করার জন্য বারবার চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেননি বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। নাম না করে বর্তমান ডিজিপি বীরেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল।
What do we have in West Bengal? Al-Qaeda, spreading its fangs, people being arrested. We have illegal bomb-making factory and bombs are freely flying in every event, being carried in an ambulance. What are these people doing?: West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar https://t.co/oHMtmwiF7n
— ANI (@ANI) October 29, 2020
আরও পড়ুন ফের রাজ্য সফরে আসছেন নাড্ডা, নভেম্বরে আসতে পারেন অমিত শাহও
প্রসঙ্গত, ৩০ অক্টোবর কলকাতায় ফিরেই দার্জিলিংয়ে চলে যাবেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের সরকারি বাসভবনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক মাস রাজ্যপালের সেখানে থাকার কথা। তবে কেন তিনি এক মাস সেখানে থাকবেন ধনকড় তা রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, নভেম্বরে পাহাড়ে ফিরতে পারেন গোর্খা জনমুক্তির নেতা বিমল গুরুং। আবার নভেম্বরেই নবান্নর কায়দায় উত্তরকন্যা অভিযান রয়েছে বিজেপির। সেইসময় বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা উত্তরবঙ্গে কর্মসূচির জন্য থাকবেন। তাই মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই নভেম্বর মাসে উত্তরবঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল। পাহাড়ের রাজনীতির উপর নজর রাখার জন্য রাজ্যপালকে পাঠানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন