পুর নির্বাচনে সব বুথে ভোট লুঠ হয়েছে। তাই কলকাতার সব বুথে ভোটগ্রহণ বাতিল করে নতুন করে ভোট করানোর দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সন্ধেয় বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তিনি রাজভবনে যান। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কলকাতায় সব বুথে ভোট বাতিলের আবেদন জানান। এদিন তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ছিলেন।
এদিন সল্টলেকের বাসভবনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আজকে যা পরিবেশ মমতা সরকার তৈরি করেছে, তা গণতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর। কলকাতায় পুরো ভোট লুঠ হয়েছে। পুলিশকে বাজে ভাবে ব্যবহার করেছে। বিধায়কদের এমএলএ হস্টেলে পুলিশ দিয়ে আটকে রেখেছিল। সাংসদকে আটকেছে, বিরোধী দলনেতার অফিসে বিধায়করা ছিলেন। সেখানে ৩০০ পুলিশ দিয়ে ঘিরে রেখেছিল। সল্টলেকে তো ভোট ছিল না। এটা কলকাতা পুরসভা নয়, বিধাননগর পুরনিগমের এলাকা। পাঁচটার পর রাজভবনে যাওয়ার সময় আমাদের আটকানো হয়।"
এরপর তিনি বলেন, "রাজ্যপালের কাছে আমরা আবেদন করব পুরো ভোট বাতিল করতে হবে। আবার নতুন করে ভোট করাতে হবে কলকাতায়।" উল্লেখ্য, বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সময় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠকে ওই বাড়িতে ছিলেন গেরুয়া দলের ২০ বিধায়ক-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা। বিশাল পুলিশবাহিনী দেখেই কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। কোন নির্দেশের ভিত্তিতে এই ঘেরাও, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন সল্টলেকে ‘অবরুদ্ধ’ শুভেন্দুর বাড়ি, টুইটে সোচ্চার রাজ্যপাল
এরপর বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরনো মাত্রই শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয় পুলিশ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার প্রবল তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ঘেরাওয়ের বিষয়টি নিয়ে টুইটে সোচ্চার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। টুইটে তিনি লিখেছেন, ”সল্টলেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি বিধাননগর পুলিশ দ্বারা অবরুদ্ধ। সেখানে ২০ জন বিজেপি বিধায়ক-সহ দলের বেশ কয়েকজন রাজ্যস্তরের নেতাও উপস্থিত রয়েছেন।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন