গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভরাডুবি হয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। একটি আসনও পায়নি ঘাসফুল শিবির। উল্টে পদ্মচাষ হয়েছে প্রত্যেকটি জেলায়। সেই কথা ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে কর্মিসভার বৈঠকে সেই কথাই উল্লেখ করলেন মমতা। উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে, জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার এবং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে মানুষ দুহাত উপুর করে ভোট দিয়েছেন। সেই আক্ষেপই করলেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল মনে করিয়ে দিয়ে মানুষের কাছে প্রশ্ন করেন, উত্তরবঙ্গে একটাও আসনে জেতেনি তৃণমূল। এত কাজ করলাম তাও সবাই বিজেপিকে ভোট দিল। কী অপরাধ ছিল আমাদের? কী অন্যায় করেছিলাম। সব কাজ তো করে দিয়েছি। কিন্তু এবার বিধানসভা ভোটে আমি আপনাদের আশীর্বাদ-দোয়া সবটাই চাই। এরপরই গোর্খাল্যান্ডের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, "২০১৪-১৯ সালের লোকসভায় বিজেপি বাংলা ভাগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভোট এলেই ওরা গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দেয়। ফলে ভোট পেয়ে জিতেছে। আমি বলিনি তাই ভোটও পাইনি। কিন্তু, এখন ওরা বিজেপির নাটক বুঝতে পেরেছে। এই জন্য দার্জিলিংয়ের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। পাহাড়-সমতলে লড়াই লাগিয়ে লাভ হবে না। আমি চাই পাহাড়-তরাই নিজেদের মতো করে ভাল থাক। আমরাই পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করব।"
আরও পড়ুন ‘আমি কি কাঁচকলা খাব?’ বিজেপি-মিম আঁতাঁত প্রসঙ্গে মমতা
সম্প্রতি, বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ বদলানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। সেই কথা এদিন উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ওরা এখন রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে চাইছে। বদলে দেখাও দেখি। দেখি কত হিম্মত। হিম্মত থাকলে বদলে দেখাও। দেশের ইতিহাস-ভূগোল বদলাতে চাইছে আর এবার জাতীয় সঙ্গীত পাল্টাতে চাইছে। এমন দুঃসাহস দেখালে জনগণ এর জবাব দেবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন