গত মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের চার বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বনশ্রী মাইতি। কিন্তু যোগদান পর প্রায় এক মাস হতে চললেও তিনি এখনও পড়ে রয়েছেন তৃণমূলে! অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় বলাই যায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। বিশ্বাস নাহলে ঢুঁ মারুন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনশ্রী মাইতির ভেরিফাইড টুইটার প্রোফাইলের কভার, 'নিজেকে বিজেপির থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন।' তারপর বড় বড় হরফে লেখা, 'বাংলা বাঁচাও'। প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি কাঁথি উত্তরের বিধায়ক এবং এখনও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী। গত ১৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ তাঁর দলত্যাগের ঠিক চারদিন আগে শেষবারের পোস্ট হয়েছে টুইটার হ্যান্ডেলে। এবং সেটা হল রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের বিজ্ঞাপন।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেও তাঁর নারদা স্টিং অপারেশনের বিখ্যাত ভিডিও জ্বলজ্বল করছিল বিজেপির ইউটিউব চ্যানেলে। কাগজে মুড়ে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাতে বড় অস্ত্র পেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু ভোটবাক্সে তা প্রতিফলিত হয়নি। কিন্তু মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর সেই ভিডিও রয়ে গিয়েছিল ইউটিউবে। এরপর তা ফের প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তি বাড়ে মুকুল-শুভেন্দুর।
আরও পড়ুন হুডখোলা জিপে বিরাট রোড শো, সোমবার শহরের রাজপথে শোভন-বৈশাখী ঝড়
তারপর কিছুদিন আগে সেই ভিডিওগুলি মুছে ফেলা হয় চ্যানেল থেকে। এবার বনশ্রী মাইতির ক্ষেত্রেও তেমনই অস্বস্তি হতে পারে বিজেপির। হয়তো তিনি আর তৃণমূলে নেই সেকথা ভুলেই গিয়েছেন বনশ্রীদেবী। তৃণমূল ব্যঙ্গ করে বলছেও, "বিধায়কের শরীর গিয়েছে বিজেপিতে, মন এখনও ঘাসফুল শিবিরে!"