মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকে সফল হয়েছে অপারেশন লোটাস। অঘটন না ঘটলে মহারাষ্ট্রও পদ্মের হাতে আসা প্রায় সময়ের অপেক্ষা মাত্রা। পতনের দুয়ারে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এরপর অপারেশন লোটাস হবে ঝাড়খণ্ড ও বাংলাতেও। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরব সাগরের তীরের রাজ্য়ে টলমল মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকার। গত পরশু মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে সহ প্রায় ২০ জন শিবসেনা বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজ্য গুজরাটের সুরাটে উড়ে গিয়েছিলেন। পরদিন ভোরে তাঁরা চলে যান আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে। সেনায় 'বিদ্রোহী'দের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। দলের বিধায়কদের উপর থেকে রাশ আলগা হয় সেনা প্রধান উদ্ধবের। বিদ্রোহীদের দাবি, কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ায় শিবসেনা হিন্দুত্বের লাইন থেকে বিচ্যূত হয়েছে। ফলে বিজেপির সঙ্গেই জোট গড়ে সরকার চালাতে হবে।
বর্তমানে একনাথ শিণ্ডের দাবি তাঁর হাতে রয়েছে ৪৯ জন বিধায়কের সমর্থন। যার মধ্যে ৪২ জন শিবসেনার বিধায়ক। পাল্টা, সেনা মুখপাত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে পড়ায় বিদ্রোহী বিধায়কদের অধিকাংশ এই ধরনের আচরণ করছেন। সেনায় বিদ্রোহের নেপথ্যে আদতে বিজেপি।
একই অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, 'বিজেপি পেশি ও অর্থ শক্তি প্রয়োগ করে গণতন্ত্রকে বুলডোজ করতে চাইছে। যা অনৈতিক।'
ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে রাজ্যে একের পর এক ঘটনা, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে এ দিন শুভেন্দু অধিকারী মমতা সরকারকে নিশানা করেন। বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা করেছে। আমি আদালতে গিয়েছি। সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচ পেয়েছি। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সবই তো ২রা মে-র পর, মমতা ব্যানার্জীকে হারিয়েছে বলে মামলা। ভাইপো আর ভাইপোর বউকে ডাকল বলে মামলা! ওসব নাটক খাটবে না। দেখতে থাকুন, মহারাষ্ট্র হয়ে গেছে, ঝাড়খণ্ড হবে, তারপরই বাংলা হবে।'
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ সরকার ও কর্ণাটকে কুমারস্বামী সরকারের পতন ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এই দুই ক্ষেত্রেই শাসক দল বা জোটের বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। অন্য দলের বিধায়কদের ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে হোটেলবন্দি করতেও দেখা যায়। যা অপরেশন লোটাস নামে পরিচিত।