বঙ্গে বিজয়রথ ছোটাতে বিজেপির বড় বাধা হতে চলেছে প্রাক্তন শরিক দল। রবিবারই মহারাষ্ট্রের শাসকদল শিবসেনা বাংলায় নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেছে। ভোটের মুখে ঢাকঢোল পিটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শিবসেনার মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এদিন টুইট করে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, একুশের বাংলা নির্বাচনে লড়বে হিন্দুত্ববাদী দল। টুইটের শেষে জয় হিন্দ, জয় বাংলা লিখেছেন রাউত। শিবসেনার এই চালে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে পারে বিজেপির।
রাজনীতির ময়দানে দীর্ঘদিনের শরিকের সঙ্গে ২০১৯ সালে বিচ্ছেদ হয় বিজেপির। মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের পর এখন একে অপরের শত্রু বিজেপি-শিবসেনা। দুটোই হিন্দুত্ববাদী দল। এবার একথা সবার জানা, রাজ্যে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মিম নির্বাচনে অংশ নিলে হিন্দু ভোট নিজেদের দিকে টানার ব্যাপারে সুবিধা হবে বিজেপির। কিন্তু শিবসেনা নির্বাচনে প্রার্থী দিলে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ভাগাভাগি হতে পারে। তাহলে সুবিধা হবে শাসকদল তৃণমূলের। এর আগে ২০১৬ বিধানসভা এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা। মূলত, হিন্দু ভোট ভাগাভাগির লক্ষ্য়েই শিবসেনা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
আরও পড়ুন “বিজেপির হাত ধরার চেয়ে মৃত্যুবরণ অনেক ভাল”, দলত্যাগীদের কটাক্ষ ফিরহাদের
তবে রাজ্যে শিবসেনার সংগঠন অত্যন্ত দূর্বল। রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার আগে বিজেপিতেই ছিলেন। দলের অধিকাংশই বিজেপির বিক্ষুব্ধ সদস্য। তবে শিবসেনা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপিকে। এর আগে বিহার নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা, কিন্তু একটি আসনও জিততে পারেনি। তবে বিজেপির ভোট কিছুটা কাটতে পেরেছিল তারা। মনে করা হচ্ছে, অন্তত হিন্দু অধ্যুষিত ১০০-১১০টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে শিবসেনা। কয়েকটি আসনে ভোট ভাগাভাগির ফলে একটু শতাংশের হেরফের হলেই সমস্যা হতে পারে বিজেপির।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন