প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে এবার পদ ছাড়লেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে মতবিরোধ ছিল অধীরের। তাঁর মৃত্যুর পর সোমেনের পরিবারের সঙ্গেও দূরত্ব বজায় থাকে বহরমপুরের সাংসদের। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সময় যা চরম আকার নেয়। বিধানসভায় ব্যর্থতার দায় অধীরের উপর চাপিয়ে এবার প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়লেন রোহন।
অধীর এবং প্রদেশ কংগ্রেসের অফিসিয়ালি মেল করে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন সোমেন-পুত্র। চিঠিতে অধীরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। জিতিন প্রসাদ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও পর্যবেক্ষক নেই। তাই সরাসরি অধীরকেই মেল করেছেন রোহন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, অধীরের নেতৃত্ব কাজ করার আরও কোনও ইচ্ছা নেই তাঁর। রোহনের প্রতি প্রদেশ সভাপতির মনোভাব জঘন্য। যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে শুরু করে হালের বিধানসভা নির্বাচন, সর্বত্রই বৈমাতৃকসুলভ আচরণ করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে।
আরও পড়ুন প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতিতে দিল্লিতে রাহুল-পিকে সাক্ষাৎ! নজরে কি পাঞ্জাব-ইউপির ভোট?
রোহন আরও লিখেছেন, প্রদেশ সভাপতি হিসাবে রাজ্যে দলকে উপরে তুলতে ব্যর্থ অধীর। বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য আসন তারই প্রমাণ। ক্ষমতাসীন সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আচরণ, দলের নিচুতলার সঙ্গে তাঁর দূরত্বের ফলে কংগ্রেসের হাল আরও খারাপ হয়েছে রাজ্যে। এমনকী ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করা, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে মিলে জোটে আইএসএফের অন্তর্ভুক্তি করানোর নেপথ্যেও অধীরকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রোহন। লিখেছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অপমানিত হয়েও আইএসএফের সঙ্গে জোটের জন্য উদ্গ্রীব ছিলেন অধীর।
আরও পড়ুন কাঁধে হাত রাখায় কর্মীকে সপাটে চড়, তুমুল বিতর্কে কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
সবমিলিয়ে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য অধীর ও প্রদেশ নেতৃত্বে অধীর অনুগামীদের দায়ী করেছেন রোহন। একাধিক জেলায় বিজেপি ঘনিষ্ঠদের পদে বসিয়ে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকেই সুবিধা করে দিয়েছেন অধীর, অভিযোগ রোহনের। তবে বাবা সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার প্রদেশ সভাপতি হওয়ার জন্য অধীরকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন রোহন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন