আগে মুকুল রায় করেছিলেন। কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীও একই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এবার একই অভিযোগ তুললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। দিদির কানন বৃহস্পতিবার অভিযোগ তোলেন, রাজ্য সরকার ২০১৯ সাল থেকে তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় থেকে ফোনে আড়ি পাতছে। যদিও তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পাল্টা কটাক্ষ করেছে, রাজ্য নয়, কেন্দ্র সরকারই ফোন ট্যাপ করে।
এদিন বিজেপি নেতা তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, অনেকে বলছেন, "আমাকে নাকি ফোনে পাওয়া যায় না। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পরে আমি বুঝতে পারি, আমার ফোনের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। আমার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে ফোনে আড়ি পেতে। তাই আমি আমার ফোন নম্বর বদলাতে বাধ্য হয়েছি।" প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দেড় বছরেরও বেশি সময় পর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন শোভন-বৈশাখী।
আরও পড়ুন জনসভায় পুলিশি নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু
সম্প্রতি গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পর্যন্ত রোড শো করেছেন বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক। সেই মিছিলে রক্তের স্বাদ যেন পেয়ে গিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। এদিন তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে আসতেই পুষ্পবৃষ্টি করা হয় তাঁদের উপর। মুরলীধর সেন সেনে তাঁদের একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। দরজায় বসেছে নেমপ্লেটও। সাংবাদিকদের শোভন জানিয়েছেন, শীঘ্রই বেশ কর্মসূচি করবেন তাঁরা। ডায়মন্ড হারবার, রায়দিঘি, কলকাতা, বারুইপুর, বিষ্ণুপুরে বেশ কয়েকটি মিছিল করবেন তাঁরা। বাড়ি বাড়ি প্রচার করবেন এই জোনের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে শোভনকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেছেন, "আমি বুঝতে পারছি না কেন এই অভিযোগ করছেন উনি? রাজ্য সরকার কখনও ফোন ট্যাপ করতে পারে না। যদি সত্যি তাঁর ফোন ট্যাপ করা হত তাহলে তিনি হোয়াটসঅ্য়াপে বা ফেসটাইমের মাধ্যমে কল করতে পারেন। এই অ্যাপগুলি দিয়েও কথা বলা যায়। ভিত্তিহীন অভিযোগ করে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছেন।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন