করোনা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এবার সরাসরি বিধায়ক ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। প্রমাণিত বলেও দাবি করেছেন। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসকে তাঁর কটাক্ষ, ২৩৫-এর দম্ভ এবার চেপে বসেছে তৃণমূলের উপর।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "কয়েক হাজার মানুষকে ভূয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশন সরাসরি যুক্ত। কলকাতা কর্পোরেশনের পুরপ্রশাসক থেকে একাধিক বিধায়ক, আইপিএস, জনপ্রতিনিধি, ছোট থেকে বড় নেতা আধিকারিক, আইএএস আধিকারিক সকলেই যুক্ত। ইতিমধ্যে এটা প্রমাণিত।" বিধানসভায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব বাতিল হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা।
এর আগে বিধানসভা অধিবেশন শুরুতে রাজ্যে নির্বাচনী পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে মূলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। এদিন ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলেন মনোজ টিগ্গা-সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, "ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে আমাদের জানতে ইচ্ছা করে তাঁদের স্বাস্থ্য কেমন আছে, তাঁদের মধ্যে একজন সাংসদও আছেন। শাসকদলের সৃষ্টি করা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে মূলতুবি প্রস্তাব পাঠ করতে দেওয়া ও সরকারের বিবৃতি দাবি করেছিলাম। অধ্যক্ষ তা বাতিল করেছেন তাঁর ক্ষমতাবলে।"
আরও পড়ুন স্পিকারকে ‘দলদাস’ বলে বিপাকে শুভেন্দু, স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস তৃণমূলের
২০০৬-তে বিপুল ক্ষমতা নিয়ে রাজ্য আসীন হয়েছিল বামফ্রণ্ট সরকার। তখন বামেরা ২৯৪-এর মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয় পয়েছিল। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুনতে হয়েছিল ২৩৫-এর দম্ভ। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "সব কথায় যদি ক্ষমতা দেখান, যে ২৩৫-এর দম্ভের মতো ২১৩-এর দম্ভ যদি দেখান, তা হলে আমাদের পক্ষে বিএ কমিটিতে গিয়ে সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আছে। তাই বিএ কমিটির বৈঠকে যাইনি। এটা বয়কট নয়। এটা প্রতিবাদ।"
আরও পড়ুন ‘ও সহকর্মী, কিছুই বলব না’, সৌমিত্রকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু
ভূয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় রাজ্য। শুভেন্দুর দাবি, "ভ্যাকসিন নিয়ে এত বড় দুর্নীতি বিশ্বের কোথাও হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন