পদের লোভে বিজেপিতে আসেননি। কর্মী হয়েই দলের নির্দেশে কাজ করতে চান। কারও উপর মাতব্বরি করতে চান না। দল বললে বিজেপির পতাকা লাগাবেন বলেছিলেন। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার এক মাসও হল না, তার আগেই বড় উপহার পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বছর শেষে অমিত শাহের নির্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমান পদমর্যাদা পেলেন নন্দীগ্রামের নেতা। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর পদে বসছেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে বঙ্গ বিজেপির সদর দফতরে এই নির্দেশ এসেছে।
তৃণমূল ছাড়ার আগেই শুভেন্দুর জন্য জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে, বুলেট প্রুফ গাড়ি, সর্বক্ষণের জন্য সিআরপিএফ জওয়ান ও ব্ল্যাক-ক্যাট কমান্ডোর নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে তাঁর জন্য। অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদানের দিন তিনি দলীয় নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, কারও উপর মাতব্বরি করতে আসেননি তিনি। দলে যা বলবে তাই করবেন। প্রয়োজনে, দেওয়াল লিখবেন-পতাকা লাগাবেন।
আরও পড়ুন প্রশাসক পদ থেকে অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা সৌমেন্দুর
কিন্তু যতদিন যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে দলের যে কোনও কর্মসূচি-সভায় মূল বক্তা বা প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু। এর আগে তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ও এসেছেন, সৌমিত্র খাঁ, সব্যসাচী দত্ত এসেছেন। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা, সুযোগ সুবিধা এমনকী কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদ কারও কিছুই জোটেনি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল থেকে যেই আসুক বঙ্গ বিজয়ের লক্ষ্যে শুভেন্দুকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন অমিত শাহ।
এর আগে যখন তৃণমূলে ছিলেন তখনও একাধিক দলীয় ও সরকারি পদে ছিলেন মেজো অধিকারী। এইচআরবিসির চেয়ারম্যান, তিন তিনটি দফতরের মন্ত্রী, একাধিক জেলার পর্যবেক্ষকের মতো ৩৫টি পদে ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল ছাড়ার আগে বিধায়ক পদ-সহ সব পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তিনি মুখে যাই বলুন না কেন, বিজেপিতে এসেও পদ তাঁকে ছাড়ছে না। একমাসও গেল না, কেন্দ্রীয় সংস্থার ডিরেক্টর পদ পেয়ে গেলেন শুভেন্দু। ধীরে ধীরে বঙ্গ বিজেপি শুভেন্দুময় হয়ে যাচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন