শুভেন্দু গেরুয়া শিবিরে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের বাকি বাসিন্দারা কী করবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। অধিকারীরা কি তৃণমূলেই থাকবেন না কি শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করবেন তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবারও খড়দহের সভা থেকে শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ করেছেন, রামনবমীতে তাঁর বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন। অধিকারীদের নিয়ে জল্পনার মধ্যেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দুকে অপসারণ করা হল। রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্নন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন।
জানা গিয়েছে, বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের পদ থেকে অপসারিত সৌমেন্দু। শুভেন্দুর দলত্যাগের পরে সৌমেন্দুকে নিয়ে ‘সন্দেহ’ দানা বাঁধে। মমতার মেদিনীপুরের সভা এবং কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন শিশির-দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু। সন্দেহের জায়গা তৈরি হওয়াতেই অপসারণ, বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন শুভেন্দু। বলেন, "মাননীয় ভাইপোর রাগ হয়েছে। এখনও বাসন্তী পুজো আসেনি। রামনবমী হয়নি। সবে তো এখন পদ্ম কুড়ি ফুটেছে। পদ্ম ফুটবে তো। রামনবমীতে ফুটবে। আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে। তোমার বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাব। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটেও পদ্ম ফুটবে।"
আরও পড়ুন ‘তোমার বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাব’, শুভেন্দু নিশানায় ‘ভাইপো’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই সৌমেন্দুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তাহলে কি সত্যিই রামনবমীতে বিজেপিতে যোগ দেবেন অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যরা? এর আগে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় কিন্তু প্রথমে দলেই ছিলেন। পরবর্তীকালে লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে সংগঠনের কাজও করেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের ভরাডুবি হতেই দলে অসম্মানিত হওয়ার অভিযোগ তুলে বাবার মতো বিজেপিতে যোগ দেন শুভ্রাংশু। সেই ঘটনারই মতো মনে করা হচ্ছে, দিব্যেন্দু-সৌমেন্দুদের বিজেপিতে যোগদান এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে বর্ষীয়ান শিশির অধিকারীর ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা কম। তিনি হয়তো রাজনীতি থেকে অবসর নিতে পারেন বলে গুঞ্জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন