/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/tathagata-roy.jpg)
ফের দলীয় নেতৃত্বকে বিঁধে সুর চড়ালেন তথাগত রায়।
বিজেপি থেকে কি বিদায় নিচ্ছেন তথাগত রায়? শনিবার সকাল সকাল টুইট করে জল্পনা বাড়ালেন প্রবীণ বিজেপি নেতা। বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি লিখে তাঁর এই টুইট ধন্দ বাড়িয়েছে পদ্মশিবিরেও। তাহলে কি হাইকম্যান্ড থেকে চাপেই বিদায় নিচ্ছেন তথাগত রায়? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর থেকে লাগাতার টুইটবাণে জর্জরিত করেছেন নেতৃত্বকে। একের পর এক বোমা ফাটিয়ে শিরোনামে এসেছেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তাঁর নিশানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন এমনকী দিলীপ ঘোষও। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কর্মপদ্ধতি, দলে ভোটের আগে তারকাদের নেওয়া, সবকিছুরই নিন্দা করেছিলেন তথাগত।
মে মাসে ভোটের ফল বেরোতেই আক্রমণ আরও তীব্র হয় তথাগতর। বিজেপির তারকা প্রার্থীদের একাংশকে নগরীর নটী বলে আক্রমণ করেন। তাঁদের টিকিট দেওয়ার জন্য কৈলাস-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ মেননকে একযোগে আক্রমণ করেন তিনি। উপনির্বাচনেও চারটি আসনে বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতেই খড়গহস্ত হন তথাগত। টুইটারে টাকা ও নারী প্রসঙ্গ নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন ‘পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী’, রাজ্য-বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন তথাগত
শনিবার তথাগতর টুইটে জল্পনা বেড়েছে। তিনি লিখেছেন, "কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য আমি টুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচীয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!"
কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য
আমি টুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম।
এবার ফলেন পরিচীয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব।
আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি !— Tathagata Roy (@tathagata2) November 20, 2021
এই টুইটের পরই তথাগতর দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক মহল এর পিছনে দিলীপ-কৈলাসদেরই হাত দেখছেন। সম্প্রতি শোনা যায়, তথাগতর টুইটবাণে জর্জরিত হয়ে বিরক্ত দিলীপ দিল্লিতে হাইকম্যান্ডের কাছে নালিশ করেছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। বার বার দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ ভাল চোখে দেখছে না হাইকম্যান্ডও। যখন নির্বাচনে হেরে দলের সংঘবদ্ধ হওয়ার কথা তখন এই শৃঙ্খলাভঙ্গ মানতে পারছে না নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে, হাইকম্যান্ডের চাপেই এই টুইট তথাগতর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন