আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দলনেত্রী। জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি বার্তা সার্কুলারের আকারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বিক্ষুব্ধদের কাছে। ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইন শেষ হতেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল দাঁড়ানো প্রার্থীদের সরাসরি বহিষ্কারের পথে হাঁটল জোড়াফুল শিবির। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে উত্তর ২৪ পরগনায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।
রবিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক ও রথীন ঘোষ এবং জেলা কোঅর্ডিনেটর পার্থ ভৌমিক সাংবাদিক বৈঠকে করে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, মোট ২৫টি পুরসভার মধ্যে ১৩টিতে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। উত্তর বারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, খড়দা, অশোকনগর-কল্যাণগড়, টাকি, বারাসত, উত্তর দমদম, কামারহাটি, টিটাগড়-সহ বেশ কিছু পুরসভায় গোঁজ প্রার্থীরা দলের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান।
আরও পড়ুন নির্দলের ফ্লেক্স ছেঁড়া, বিজেপি প্রার্থীকে ঝেঁটিয়ে বিদায়ের নিদান জেলা তৃণমূল সভাপতির
এদিন পার্থ ভৌমিক বলেছেন, "তৃণমূলের যে সব নেতা বা কর্মী নির্দল-অন্য দলের প্রতীকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য দল ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল। নাহলে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই সেই নির্দেশ মানেননি। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁদের মধ্যে ৬১ জনকে বহিষ্কার করলাম।"
আরও পড়ুন ‘কোথায় গেল আই-প্যাক?’ পিকের এজেন্সিকে তুলোধনা কল্যাণের
প্রসঙ্গত, এদিনই নাকতলার বাড়িতে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "দলের সর্বস্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নির্দল হয়ে জিতে এলেও দলে জায়গা হবে না।" একই সুরে সেই কথা বলেছেন পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির বিধায়ক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্দল হয়ে জিতে এলেও তাঁদের জায়গা হবে না।"