আর রাখঢাক নয়। ধৈর্য ও সহ্যের সীমা অতিক্রম করায় এবার সরাসরি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দলের একাধিক সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মিহিরবাবু আশা করেছিলেন, দলের সঙ্গে সংঘাত এবার হয়তো মিটবে। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু সেই বৈঠকেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি সহ্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলেন। ঠিক করেছেন, দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করাই ঠিক। এদিন ফেসবুক পোস্টে দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন শেষ করার বার্তা দিলেন মিহির গোস্বামী।
এদিন ফেসবুক পোস্টে মিহিরবাবু লিখেছেন, "গত ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এও জানিয়েছিলাম, দলনেত্রীর নির্দেশ পেলে আমি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারি। তারপর প্রায় দুমাস হতে চলল আমি যেমন নিজের বিবেকের সঙ্গে ও নিজের যুক্তিবোধের সঙ্গে চিন্তন-মন্থন করেছি তেমনই আমার ভাবনাকে মানুষের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার করেছি। যে সব মানুষ আমার ভাবনাকে যুক্তিযুক্ত ভেবে স্বাগত জানিয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যেই আবার বলি, গত দশ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত ও অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়ে গিয়েছেন, দলনেত্রীকে সেসব কথা বারংবার জানিয়েও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি।"
আরও পড়ুন বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ঘোষণা মমতার
এরপর তিনি আরও লিখেছেন, "আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার সময় অনুভব করেছি, বাইশ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম, আজকের তৃণমূল সেই দল নয়। এই দলে আমার জায়গা নেই। তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা করছি, আমার দীর্ঘদিনের সাথী বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীরা আমাকে মার্জ্জনা করবেন।" মিহিরবাবুর বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার দলের তরফে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, নিজের অবস্থানেই অনড় থাকবেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন