রবিবারই ভুল স্বীকার করে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় অভিষেকের সভায় পরভূমে ঘরে ফিরলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। যোগ দিয়েই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের প্রশংসা রাজীবের গলায়। আর রাজীব তৃণমূলে ফিরতেই তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদ রণংদেহী মেজাজে আক্রমণ করলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে।
রাজীবকে এদিন পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তোপ দেগেছেন কল্যাণ। বলেছেন, 'টপ টু বটম করাপ্টেড'। এদিন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আক্ষেপের সুর কল্যাণের গলায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা 'কেউ কথা রাখেনি'র লাইন উদ্ধৃত করে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়াণ তৃণমূল নেতা। কল্যাণ বলেছেন, "দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়েন করিয়েছেন। আমাকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু মমতাদি নির্বাচনের মিটিংয়ের সময় বলেছিলেন, রাজীবের ৩-৪টে বাড়ি আছে গড়িয়াহাটে। তাঁর টাকার লেনদেন চলছিল দুবাইয়ে। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে দলে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্বই বলতে পারবে।"
এরপরই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে খোঁচা দিয়ে কল্যাণ বলেছেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দিয়ে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে নেওয়া হবে না। আমিও দলের একজন কর্মী। তাই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাটা মনে পড়ে যাচ্ছে, 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতাটা মনে পড়ছে। তাছাড়া তৃণমূলে থাকতে হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে সবাইকে। আমাকেও মেনে চলতে হবে। তবে আমি জানি না একটা টপ টু বটম করাপ্টেড লোককে কেন জয়েন করানো হল। আমি জানি না।"
আরও পড়ুন ‘বিজেপিতে যাওয়া ভুল ছিল’, স্বীকার করে তৃণমূলে ‘ঘরওয়াপসি’ রাজীবের
প্রসঙ্গত, প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী এবং পরে রাজীবের তৃণমূল থেকে বিদায় পর্বের সময় এঁদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার ছিলেন কল্যাণ। শুভেন্দু-রাজীবকে রোজই একের পর এক তোপ দাগতেন। দুজনকেই দুর্নীতিবাজ বলে আক্রমণ করতেন। নির্বাচনে ভরাডুবির পর ৯ মাসে ঘুরতেই বিজেপিকে বিদায় জানিয়ে তৃণমূলে ফিরলেন রাজীব। মমতা একসময় ভোট প্রচারে শুভেন্দু-রাজীবদের 'গদ্দার' বলে আক্রমণ করেছিলেন। এরপরেও কেন সেই 'বিশ্বাসঘাতক' রাজীবকে দলে নেওয়া হল তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন