/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/10/mamata-sonia-priyanka.jpg)
ফের তৃণমূলের নিশানায় কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী তালিকার ৪০ শতাংশ মুখ হবেন মহিলারা। মঙ্গলবারই এই ঘোষণা করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। হাত শিবিরের বেনজির এই সিদ্ধান্ত আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের দূরদর্শী পদক্ষেপের 'অনুকরণ' বলে বুধবার টুইটে দাবি করেছে ঘাস-ফুল শিবির।
রাজ্যের শাসক দল তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলারে লিখেছে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শী নেতৃত্ব দেশের মহিলাদের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি নিশ্চিতের পথ দেখিয়েছে। তৃণমূলই প্রথম দল যারা লোকসভা ভোটে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল।'
আরেকটি টুইটে লেখা হয়েছে যে, 'বোঝা যাচ্ছে যে, ভয়াবহ সময় এই বিষয়টি (৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী) কংগ্রেস অনুকরণ করার চেষ্টা করছে। আশা করা যায় যে এই পদক্ষেপ লোকদেখানো নয়, একেবারে খাঁটি হবে। তারা এই বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত করলে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, অন্যান্য নির্বাচনেও ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেবে।'
Amid such dire times, @INCIndia is understandably trying to emulate and one can only hope that this is genuine and not tokenism. If they are to be taken seriously, they must give 40% seats to women in states other than UP as well. (2/2)
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 20, 2021
অর্থাৎ, হিন্দি-বলয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের নির্বাচনে ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী পদের নজরকাড়া ঘোষণার মাধ্যমে কংগ্রেস যে চমক ও প্রগোতীশিল মানসিকতার ছাপ রাখতে চাইছিল তা তাদের 'অনুকরণীয়' বলে দাবি করল তৃণমূল। এক্ষেত্রেও যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা-ভাবনা শতাব্দী প্রাচীন দলের থেকে এগিয়ে তাই বকলমে তুলে ধরার চেষ্টা করল এ রাজ্যের শাসক শিবির।
নজরে ২০২৪। মোদী বিরোধী জোট গড়তে তৎপর মমতা। ইতিমধ্যেই তিনি সনিয়া গান্ধী সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা চালিয়েছেন। কিন্তু, জোটের মুখ হিসাবে তৃণমূল নেত্রীকে তুলে ধরতে মরিয়া জোড়া-ফুল শিবির। আর থা ঘিরেই প্রস্তাবিত জোটের দলগুলির মধ্যে টানাপোড়েন প্রকট হচ্ছে। বাংলার বাইরে ত্রিপুরা, অসম, গোয়ায় সংগঠন বিস্তার করে আঞ্চলিক তকমা ঘোচাতে চাইছে তৃণমূল। ভিনরাজ্যে সংগঠন বিস্তারে তাদের নজরে কংগ্রেস নেতারাই। ত্রিপুরা, অসম, গোয়া থেকে একাধিক শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মমতা-অভিষেকও ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে হাত শিবিরকে আক্রমণ করে ভাষণ দিয়েছিলেন। আর এবার কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকেই তৃণমূলের 'অনুকরণীয়' বলে দাবি করা হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন