New Update
Advertisment
আজ, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। পুরভোটে বিপুল জয়লাভের পর এই সাংগঠনিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আজ, নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সেদিকেই নজর রয়েছে সবার। এদিনের বৈঠকেই ১০২টি পুরসভার চেয়ারম্যান কারা হবেন তা ঠিক হতে পারে। পাশাপাশি, ত্রিশঙ্কু চারটি পুরসভায় কী হবে এবং নির্দলদেরও ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে আজকের বৈঠকে।
গতকালই শেষ হয়েছে উত্তরপ্রদেশের শেষ দফার নির্বাচন। সন্ধে সাতটা থেকেই পাঁচ রাজ্যের বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারই ফিরতে চলেছে, এবং পঞ্জাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত আম আদমি পার্টির। গোয়ায় বিজেপি-কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কিন্তু তৃতীয় শক্তি হিসাবে তৃণমূল-মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির উত্থানের ইঙ্গিত। যা কিছুটি স্বস্তি দেবে তৃণমূলকে।
যদিও মমতা এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রথম থেকেই বলে আসছেন, গোয়ায় তাঁরাই সরকার গড়বেন। তবে সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সরকার না গড়তে পারলেও কিং মেকার হতে পারে তৃণমূল। যে কারণ গোয়ায় অবস্থান বদল করেছে কংগ্রেস। গতকাল বুথফেরত সমীক্ষার ফল আসতেই গোয়ায় ভোট-পরবর্তী জোটের কথা ভাবছে শতাব্দী প্রাচীন দল।
আরও পড়ুন ১০২টি পুরসভার চেয়ারম্যান ঠিক করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে তৃণমূল
সেক্ষেত্রে তৃণমূল জোটকে সঙ্গে নিতে পারে কংগ্রেস। পক্ষান্তরে সরকারেই থাকবে তৃণমূল-এমজিপি। আজকের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গও উঠতে পারে তৃণমূল সূত্রের খবর। গোয়ায় ত্রিশঙ্কু হলে কংগ্রেসের তরফে জোটে আসার আহ্বান এলে কী করা হবে তা নিয়ে অবস্থান ঝালিয়ে নিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।
মঙ্গলবার এই বৈঠকে উঠতে পারে নির্দল কাউন্সিলরদের প্রসঙ্গও। এই প্রবল সবুজ ঝড়ের মধ্যেও বিভিন্ন পুরসভায় তৃণমূল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের অনেকে আবার নির্বাচনে জিতেও গিয়েছেন। এই সব কাউন্সিলরদের ফের তৃণমূলে ফিরিয়ে আনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কানাঘুঁষো চলছে দলের অন্দরে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘাসফুল শিবির এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।