একুশের লক্ষ্যে ভোট বৈতরণি পার হতে উন্নয়নই হাতিয়ার। গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করে উন্নয়নকেই ভোটযুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান দিয়ে গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা রাজ্যের ১ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন 'বঙ্গধ্বনি' যাত্রা নিয়ে। তৃণমূলের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জনসংযোগ কর্মসূচি, যার সূচনা কয়েকদিন আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সভা থেকে ঘোষণা করেছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন এবং উপস্থিত ছিলেন দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিকেও তুলে ধরা হয়। এই কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে কথা বলেন দলের নেতারা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের ১১টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা দিতে সাধারণ মানুষের বাড়ির দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে সরকার। পার্থবাবু এদিন বলেছেন, দল আগামিকাল, শুক্রবার থেকে রাজ্যে 'বঙ্গধ্বনি' যাত্রা শুরু করবে। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ৯৫০টি প্রতিনিধি দল প্রায় আড়াই লক্ষ কিমি অঞ্চল ঘুরে গত ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন।
রাজ্য সরকারের ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড
আরও পড়ুন ‘বিজেপি বাংলার দল নয়, দিল্লিতে গিয়ে বসে থাকুক’, ভবানীপুরে ‘দুয়ারে দুয়ারে’ প্রচার মমতার
এদিন ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ডে মমতা সরকার কীভাবে সমাজকল্যাণের কাজ করে সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নের বন্দোবস্ত করেছেন তা দেখানো হয়েছে। রাজ্যের একডজন উন্নয়নমূলক প্রকল্প যেমন, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, জয়জোহার, তফলিসি বন্ধু, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, ১০০ দিনের কাজ এবং কৃষক বন্ধু কীভাবে সমাজের অগ্রগতির জন্য সহায়ক হয়েছে এবং সরকার গত ১০ বছরে কীভাবে মানুষের পাশে থেকেছে তার খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। তবে বিরোধীরা এই রিপোর্ট কার্ডকে কটাক্ষ করে বলেছে, রাজ্যে শিল্পোদ্যোগ ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে একটা শব্দও লেখা নেই।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন