পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতিকে ছাড়াই কাঁথিতে ২৩ ডিসেম্বর, বুধবার জনসভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দুগড়ে জনসভা করে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই সভায় হাজির থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদের। জনসভার আয়োজকদের দাবি, তাঁদের কনসেন্ট চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি। যদিও বুধবারের দলীয় জনসভা সংক্রান্ত বিষয় এখনও পর্যন্ত তাঁদের নাকি জানানোই হয়নি বলেই অধিকারী পরিবারের দাবি।
২৩ ডিসেম্বর 'কাঁথি চলো'র ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারের ব্যানারে বক্তা হিসাবে নাম রয়েছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সৌগত রায় ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা কো-অর্ডিনেটর বিধায়ক অখিল গিরির। সেখানে নাম নেই জেলা সভাপতি সাংসদ শিশির অধিকারীর ও সাংসদ দিব্যুন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ৫ দিনের মাথায় কাঁথির এই জনসভা তৃণমূলের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জের। এই পরিস্থিতিতে অধিকারী পরিবারের দুই দলীয় সাংসদ ছাড়া কাঁথিতে তৃণমূলের জনসভা অত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা প্রচারের ব্যানার, ফেস্টুনে কোথাও নাম রাখা হয়নি দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী ও সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর। কিন্তু কেন নাম নেই অধিকারী পরিবারেরর দুই সাংসদের? এই জনসভার অন্যতম উদ্যোক্তা বিধায়ক অখিল গিরি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমরা ওদের কনসেন্ট পাইনি। আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। কনসেন্ট না দেওয়ার জন্য প্রচারে নাম রাখা হয়নি।" কিন্তু একথা মানতে নারাজ অধিকারী পরিবার।
দিব্যেন্দু অধিকারী স্পষ্ট বলেন, "জনসভার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমাদের জানায়নি। আমার কাছ থেকে কোনও কনসেন্টও চায়নি। ওই সভায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।" অন্য দিকে শিশির অধিকারীকে বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিতিৎসকরা। সূত্রের খবর, বিগত ১৫-২০ দিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁরও ওই জনসভায় থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন