Sukehndu Sekhar Roy: নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে এবার তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে তিনি বলেন, "বিজেপির আবার প্রশিক্ষণ! বিজেপি করতে আবার প্রশিক্ষণ লাগে? কারা এই শিবিরের শিক্ষক? আশ্চর্য লাগছে। সংসদীয় ব্যবস্থা অনুযায়ী, আমরা ধৈর্য ধরে সব শুনি। বক্তৃতাও হয়, কিন্তু যাঁরা এটা মানেন না তাঁদের কীসের প্রশিক্ষণ জানি না। উত্তরবঙ্গ ভাগের প্রশিক্ষণ নাকি?"
উল্লেখ্য, শনিবার হেস্টিংসের দফতরে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে রাজ্য বিজেপি। এবারের নবনির্বাচিত বিধায়করা অনেকেই অনভিজ্ঞ। বিধায়ক হিসাবে তো বটেই, জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা হাতে গোনা কয়েকজনের রয়েছে। পরিষদীয় রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিধায়কদের ট্রেনিং দিতে চাইছে বিজেপি। এদিন বিধায়কদের ক্লাস নিলেন খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ।
আরও পড়ুন শুভেন্দু-তুষার বৈঠক! সলিসিটর জেনারেলের অপসারণে রাষ্ট্রপতির দরবারে তৃণমূল
সম্প্রতি, বিজেপির দুই সাংসদ জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁয়ের পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়েছে। দুই সাংসদকে হাইকম্যান্ড সতর্কও করেছে এই বিষয়ে। দলীয় সাংসদদের বক্তব্য নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখেছেন দিলীপ-শুভেন্দু। এদিকে, বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি, এই অভিযোগে সরব শাসকদল তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গে এদিন সরাসরি বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরকে উত্তরবঙ্গ ভাগের প্রশিক্ষণ বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন ‘আমার থেমে যাওয়া উচিত’, জানালেন ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন
এদিকে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা নিয়ে সুখেন্দুশেখর বলেছেন, "উপনির্বাচন ৬ মাসে করতে হয়। তিরথ সিংয়ের ২ মাস বাকি ছিল। ওখানে রাজ্যপালের শাসন করতে পারত। আসলে দলের মধ্যে ওঁকে নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। একাধিক সমস্যার জন্য ওঁকে সরাচ্ছে। আগেরজনকে নিয়েও বিতর্ক ছিল। এটা এড়াতেই তাঁকে সরানো হয়েছে। এখানো কৌশলের অবকাশ নেই। যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন